নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
রাতের অন্ধকারে বুলডোজার দিয়ে দোকান ভাঙচুরের পর এবার অর্ধেক অর্ধেক করে ১৫-২০ টি গাছ কেটে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। শহরের বুকে পুলিশের নাকের ডগা এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে।যদিও এই ঘটনায় ন্যাক্কারজনক এবং অমানবিক বলে ব্যাখ্যা করলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলার সৌরভ বসু।
সম্প্রতি শহরের বুকে রাতের অন্ধকারে দুটি বুলডোজার নিয়ে কয়েকটি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।যেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা মেদিনীপুর শহর জুড়ে।সেই ঘটনার রেশ এখনও চলছে। তার মধ্যে আবার রাতের অন্ধকারে মেদিনীপুরের কলেজ স্কোয়ারের সামনে থাকা বিউটিফিকেশন এর জন্য লাগানো গাছ কেটে নিয়ে চলে গেল দুষ্কৃতীরা।এরকমই ঘটনায় হতবাক মেদিনীপুরের মানুষসহ পৌরসভা।এই ঘটনায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি গাছের অর্ধেক অর্ধেক কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাতের অন্ধকারে।যার ফলে নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য।যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক বছর আগে পৌরসভা নিজস্ব টেন্ডার দিয়ে শহরের বুকে এই কলেজ স্কোয়ারের সামনে বিউটিফিকেশনের জন্য এই মূর্তি গুলি বসিয়েছিল। শুধু মূর্তি না সেই সঙ্গে যাতে শহরের বুকে মানুষ ঢোকার মুখে শহরের সৌন্দর্য দেখতে পায় তার জন্য লাগানো হয়েছিল সারি সারি বিভিন্ন দামি দামি গাছ।যে গাছগুলি ইতিমধ্যে লম্বায় বড় হয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে শহরের।স্পেশাল দিনে এবং বিশেষ দিনে লাইট দিয়ে সাজিয়ে তুলে মেদিনীপুর পৌরসভা।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা পৌরসভার CIS সৌরভ বসু বলেন,”এটা একটা অমানবিক এবং জঘন্যতম কাজ।রাতের অন্ধকারে যিনি বা যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।মেদিনীপুর শহরের বুকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই গাছগুলি লাগানো হয়েছিল।কিন্তু দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে অর্ধেক অর্ধেক করে কেটে নিয়ে চলে গেছে।তাই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগও জানিয়েছি।আমরা চাই পুলিশ দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।