Medinipur College: ছাত্রের চিকিৎসার জন্য আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন গুলি!মেদিনীপুর কলেজে গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর চ্যাংশোলে ভয়াবহ পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজের নিউট্রিশন অনার্সের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র শুভজিৎ দোলই এবং জিতেন্দ্রনাথ পাত্র।আশঙ্কাজনক শুভজিৎ এর সঠিক ট্রিটমেন্টের দাবিতে কলেজের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ছাত্র সংগঠনগুলির।যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দিয়েছে।

ঘটনা চক্রে জানা যায় গত সোমবার মেদিনীপুর কলেজের দত্তক নেওয়া গ্রাম শালবনীর গোহালডিহিতে অবস্থিত গোয়ালডিহি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ চলছিল।কলেজের অনুমতি নিয়েই সেখানে যোগ দিয়েছিল নিউট্রিশন বিভাগের পড়ুয়ারা।শুভজিৎ ও জিতেন্দ্রনাথ একটি বাইকে করে পিড়াকাটার দিক থেকে গোহালডিহির দিকে আসার পথে মৌপাল সংলগ্ন চ্যাংশোল এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি বাসের সঙ্গে তাদের বাইকের সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে দু’জন।দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।রীতিমত আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের তরফে।মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় ICU-তে ভর্তি করা হয়েছিল শুভজিৎ দোলই-কে।পরে আশঙ্কা জনক অবস্থায় শুভজিৎ-কে ওইদিনই মেডিক্যাল কলেজের ICU-তে ভর্তি করা হয়েছিল।

এই মুহূর্তে জিতেন্দ্রনাথের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হলেও শুভজিৎ-র অবস্থা আরো সংকটজনক।শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী,কেশপুরের বাসিন্দা, বছর ১৮’র শুভজিৎ কে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থেকে ক্রমেই গভীর সংকটজনক হয়ে উঠছে!তাই,পরিবার ও তার বন্ধুদের দাবি, শুভজিৎ-কে মেদিনীপুর থেকে কলকাতার এসএসকেএম (পিজি) বা মল্লিকবাজার নিউরো সাইন্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত।সেক্ষেত্রে ছাত্রের চিকিৎসার জন্য যা খরচ হবে,তা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে বলে দাবি মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের।এই দাবিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে মেদিনীপুর কলেজ চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে।SFI,AIDSO ছাত্র সংগঠনের তরফে কলেজে মিছিল করা হয়।

যদিও এই বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন সোমবার দুর্ঘটনার পরই ছাত্রটিকে ভর্তি করা সহ সমস্ত দায়িত্ব আমরা পালন করেছি।প্রতি মুহূর্তে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।এই পরিস্থিতিতে ছাত্রটির অভিভাবকরা যা চাইবেন,তা হবে।আমরা আপাতত ১ লক্ষ টাকা এবং অ্যাম্বুলেন্সের খরচ দিয়ে একজন শিক্ষককে পাঠাচ্ছি।


Share

dnews.in