Path Aborodh:খড়গপুর রেশমি মেটালিকসে শ্রমিক মৃত্যুতে পথ অবরোধ বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার!ক্ষতিপূরণ সঙ্গে নির্দেশিকা মানার দাবি

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:

শ্রমিক মৃত্যু ঘিরে গন্ডগোল খড়গপুরের সাহা চকের রেশমি মেটালিকস কারখানায়। মৃত শ্রমিকের পরিবারের ক্ষতিপূরণ সেইসঙ্গে চার দফা দাবিতে এবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অবস্থানে বসলেন বিজেপি প্রার্থীর অগ্নিমিত্রা পাল।বললেন আমাদের দাবি না মিটলে এই অবস্থান চলবে লাগাতার।

অবরোধে বিজেপি

মূলত কয়েক দিন ধরে গন্ডগোল চলছে খড়গপুর সাহা চকের উড়িষ্যা মেটালরজিক্যাল কারখানা শহর রেশমি মেটালিকস কারখানাতে।আর যার জেরে শ্রমিকরা গতকাল তোড়ফোড় শুরু করে এই কারখানাতে।ভেঙে দেওয়া হয় টেবিল,গাড়ি,বাড়ি সহ কারখানা যাবতীয় জিনিসপত্র।এই ঘটনায় পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তারা।এবার সেই কারখানার শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থানে বসলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।ঘটনা ক্রমে জানা যায় সম্প্রতি এই কারখানায় রাহুল কুমার বলে এক শ্রমিক মারা যায় এবং তাকে ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে আরো দুই শ্রমিকের খোঁজ খবর পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় ক্ষোভ জন্মায় এই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে।তারা গতকাল এই অভিযোগ নিয়ে মালিকের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে এবং তারা তান্ডব শুরু করে।কারখানার টেবিল চেয়ার যেমন ভেঙে দেওয়া হয় তেমনি ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ি সহ গেট এবং আসবাবপত্র।এরপর ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গেও তারা খন্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এবার সেই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে এইদিন সকালে পৌঁছালেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।

তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় সড়কে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।তিনি সহ তার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ছিলেন তার সঙ্গে।এরই সঙ্গে ছিলেন ওইখানকার শ্রমিকরা।তিনি অভিযোগ করেন অবিলম্বে এই মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রেশমি মেটালিক বজ্য আবর্জনা ফেলছেন নদীতে তা বন্ধ করতে হবে।জমি নেওয়া হয়েছে সেই অধিগ্রহণের টাকা এখনো চাষিরা পায়নি তাদের অবিলম্বে দিতে হবে।সেই সঙ্গে কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার তিনি দাবি করেন।যদিও এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

এদিন অবস্থানে বসে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,”বছরের পর বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে যাচ্ছে এই কারখানার মালিক গুলো।যারা এখানকার মানুষের শ্রমিক হিসেবে কাজে নেয় না, বরং বাইরে থেকে কম পয়সায় শ্রমিক এনে তাদের যাবতীয় পরিষেবা দেয় না।হাইরোড ঘিরে পার্কিং করে রাখে,গেট করে দেয় যাতে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।তাই আমরা দাবি করেছি চার দফা।এই চার দফা দাবি মিটিয়ে এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা সেইসঙ্গে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে উনারা ব্যবসা করতে পারে”।পাশাপাশি আমাদের দাবি এও থাকবে, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখে এই কারখানা গুলি।


Share

dnews.in