নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
চার দিনের মাথায় কফিন বন্দী হয়ে দেহ ফিরে হল বাঙালি শ্রমিকের।দেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার।মেদিনীপুরের মানুষজনের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে এলেন হবু সাংসদ জুন মালিয়া।এদিন শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু অভিযোগ তুললেন সাংসদ
কথা ছিল পুজোর সময় যখন তিনি আসবেন তখন মেয়ের জন্য গিফট আনবেন সেই সঙ্গে বার্থডে সেলিব্রেশন করবেন কিন্তু তা আর করা হলো না বাঙালি শ্রমিকের। কুয়েতের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪৯ জন ভারতীয় সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর বাঙালি শ্রমিক দ্বারীকেশ পট্টনায়েকের(৫২)।মূলত এই দ্বারিকেশ বাবু আসল বাড়ি দাঁতনের তুরকাতে।এরই পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি মেদিনীপুর শহরে শরৎপল্লী এলাকায় বাড়ি বানিয়েছেন সেখানে তিনি স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।তবে দীর্ঘ ২৭ বছর তিনি বাইরে চাকরি করতেন।দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে কুয়েতের একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজার পদে কাজ করছিলেন।গত বুধবার বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল ৪৯ জন মানুষের যার মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয়।মূলত ভোরের দিকে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে।ওই আবাসনে থাকতেন শ্রমিকেরা,যাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়।তবে কী কারণে আগুন লেগেছিল,তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এদিন তার পার্থিব শরীর তার নিজের বাড়িতে এলে বাড়ির লোকেরা ভেঙে পড়ে।এরপর বাড়ির লোকের পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানান মেদিনীপুরের মানুষজন।এরই পাশাপাশি মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া।এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করলেন এই শ্রমিক মৃত্যু নিয়ে।
এদিন জুন মালিয়া বলেন,”বহু ভারতীয় কুয়েতে এবং বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।যাদেরকে ভালোভাবে রাখে না ওখানের কোম্পানিগুলো।কম টাকায় তারা এখান থেকে শ্রমিক নিয়ে যায় তাদের নিজের দেশে কাজ করানোর জন্য।এইদিন জুন মালিয়া অভিযোগ করেন তাদের বেরোনোর কোন রাস্তা রাখা হয়নি।তারা ট্রাপড এবং সাফোকেটেড হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়।এ বিষয়ে এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার মিনিস্ট্রিকে আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।বাইরের দেশের সঙ্গে আলোচনা করে কড়া অবস্থান নিলে এইভাবে শ্রমিক মৃত্যু আটকানো যেতে পারে।