নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কঠোর হাতে দাম নিয়ন্ত্রণে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন,তড়িঘড়ি বৈঠক সারলো প্রশাসনের আধিকারিক বৃন্দ।সেই বৈঠকে যেমন দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,সেই সঙ্গে ফড়েদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।এরই সঙ্গে এসডিও,বিডিও এবং ফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ,এগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট ও কনজিউমার এফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট কে দায়িত্ব দেওয়া হয় সবজি বাজারগুলো ভিজিট করে খতিয়ে দেখার দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা।
মাস খানেক ধরে শাক সবজি সহ আলু পেঁয়াজ লঙ্কার দাম ঊর্ধ্বমুখী।গোটা রাজ্য সহ জেলা এবং শহরের বাজারে আকাশছোঁয়া দামে বিকচ্ছে এই শাক সবজির দাম।বিশেষ করে আলু যেখানে চল্লিশ টাকা,পেঁয়াজ চল্লিশ টাকা,বেগুন,ঝিঙে,উচ্ছে,আশি থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি করছে।এরই সঙ্গে আদা রসুন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।টমেটো অন্যান্য শাক সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী।এই অগ্নি মূল্য নিয়ন্ত্রণে বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী খোদ নিজে।তড়িঘড়ি তিনি প্রশাসনকে দেখার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন।তাই দাম নিয়ন্ত্রণে এবার জেলায় বৈঠক সারলেন জেলা শাসক পুলিশ প্রশাসন একসাথে।মূলত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক,পুলিশ আধিকারিক সহ এডিএম জেনারেল,ডেপুটি ডিরেক্টর,বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজের মালিক সহ বিশিষ্টজনেরা।সেখানে জেলা কি অবস্থায় রয়েছে এই আলু পেঁয়াজ সহ শাকসবজি তা খতিয়ে দেখা হয়,জিজ্ঞেস করা হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয়।এই বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্টোরেজে মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু রয়েছে।সেখানে ৬ হাজার মেট্রিক টন আলু প্রতিদিন বের হয় বাজারে।এরই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
মুরগির ডিমের দাম সাড়ে ছয় টাকা থেকে সাত টাকার মধ্যে বেঁধে ফেলা হয়েছে।যদি বাজারে কোথাও স্বল্প মূল্যে শাকসবজি এবং আলু পেঁয়াজ না পান তবে সুফল বাংলার আউটলেট গুলো থেকে সেই মাল সরবরাহের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।এরই পাশাপাশি এসডিও, বিডিও, ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ,এগ্রো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট গুলো কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মার্কেট ভিজিট করে খতিয়ে দেখার।এরই সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফড়েদের বিরুদ্ধে,যারা বেশি দামে জিনিস কেনাবেচা করছে।
মূলত এই দিনের বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ ধৃতিমান সরকার সহ প্রায় ৯৩ টি কোল্ড স্টোরেজ এর মালিক ও অন্যান্য বিশিষ্ট প্রশাসনের আধিকারিক বৃন্দ।