Medinipur Land Mafia(দ্বিতীয় পর্ব):জমি দখলে নতুন নাম!জামকুন্ডার জমি দখলদারিতে বেশ কিছু জনপ্রতিনিধির নাম আছে বলেই অভিযোগ বিজেপির

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

রাজ্যর সঙ্গে জেলায় জমি মাফিয়াদের দাপাদাপি অব্যাহত।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদরের জামকুন্ডার জমি দখলে এবার জনপ্রতিনিধির নাম শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি।বিজেপি মুখপত্র অরূপ দাসের অভিযোগ শুধু নেতা মন্ত্রী না এর সঙ্গে যেমন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা জড়িত রয়েছে।সেই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকার জনপ্রতিনিধিও জড়িত আছে যাদের মাধ্যম দিয়েই এই ধরনের জমির দখলদারের ঘটনা ঘটছে জেলা শহরে।

শুধু বিঘার পর বিঘা নয়,এবার একরের পর একর জমি দখলের অভিযোগ শাসকদলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আর সেই প্রভাবশালীর তালিকায় জেলার জনপ্রতিনিধি জড়িত বলে দাবি বিজেপির। মূলত গত পর্বে আমরা বলেছিলাম যে এই ধর্মা এলাকার জামাকুন্ডা মৌজায় এক চাষী তার ১১ একর ৩২ ডেসিমেল জায়গা রাতারাতি ভুয়ো কাগজপত্র করে দখলের অভিযোগ করেছিলেন।সেই চাষির ছেলে ইউসুফের অভিযোগ অনুযায়ী জামকুন্ডা মৌজায় প্রায় ১১ একর ৩২ ডেসিমেলের মালিক ছিলেন পিতা দাউদ আলী।কিন্তু এই দীর্ঘ ৩০ বছরের মামলা লড়াইয়ের মধ্যিখানে প্রভাবশালী জমি মাফিয়ারা যারা বর্তমানে শাসক দলের ছত্র ছায়ায় রয়েছে তারা রীতিমত প্লট কেটে কেটে বিক্রি করে দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি কে।সেই জায়গায় পেট্রোল পাম্প,আনন্দ বিনোদনের জন্য জলসাঘর,বিভিন্ন বড় বড় বিল্ডিং এবং ঘরবাড়ি তৈরি হয় রাতারাতি।পিতার জায়গা ফিরে পেতে তিনি একের পর এক ভূমি দপ্তর,সদর মহকুমা শাসক,জেলাশাসক,পুলিশ সুপার এমনকি তিনি নবান্ন কেও চিঠি করেন।কিন্তু তাতেও জায়গা উদ্ধার হয়নি।অভিযোগের তীর এলাকার প্রভাব শালী কালু কাজী,মনির কাজী,রবিউল কাজী,মীর এশাক আলী,সাফিরুদ্দিন কাজী,গিয়াসউদ্দিন আলী,আসগর আলী সহ অন্যান্যদের দিকে।

যদিও এই নিয়ে ক্ষুব্ধ খোদ শাসকদলের জেলা সভাপতি।অন্যদিকে এই ঘটনায় এবার নতুন মোড় নিয়েছে বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে।এই দিন এই বিষয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন,”ইউসুফ বাবু বারবার অভিযোগ করছেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পুলিশ প্রশাসনে।কিন্তু তাতেও জমি উদ্ধার হয়নি।আমরা বহুবার এর আগে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি এও অভিযোগ করেছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী এইসব জমি মাফিয়া কান্ড করে বেড়াচ্ছে।কিন্তু এই ঘটনায় আমরা দেখলাম যে এই ঘটনার সঙ্গে শুধু এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কর্মীরা নন,খোদ ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরাও জড়িত আছে।পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ করেন কান পাতলে এও শোনা যাচ্ছে যে “বেশ কিছু জন প্রতিনিধিও জড়িয়ে আছে এই জমি বিক্রির” ঘটনায়।তবে এই ক্ষোভ ব্যক্ত করতে গিয়ে অরূপ বাবু এও বলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলার এখন সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হল এই জমি দুর্নীতি যা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন অবৈধ জায়গা দখল ও হকার উচ্ছেদে।এরই সঙ্গে তিনি জমি মাফিয়া ও অবৈধ প্রোমোটারিতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। ফলে একদিকে যখন খোদ মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিচ্ছেন তখন অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরে নিজের নামে কাগজপত্র এবং কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও রাতারাতি সেই জায়গা বিক্রি করে দিচ্ছে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা ও জমি মাফিয়ারা এমনই অভিযোগ ইউসুফ আলী নামে এক ব্যক্তির।যা নিয়ে প্রশাসন ও নবান্নের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন জমি হারা চাষী ইউসুফ আলী।সূত্র অনুযায়ী ও জানা যায় গতকাল ভূমি দপ্তরে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকেরা ডেকেছিল ওই চাষীকে বিষয়টি জানার জন্য।তবে তার অভিযোগ শুনে কোন সমাধান সূত্র বেরোয়নি বলেই সূত্রের খবর।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in