নিজস্ব প্রতিনিধি,পঞ্চমী:
রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে আসার পথে গভীর রাতে সিমেন্ট গাড়ির ধাক্কার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলো অ্যাম্বুলেন্সের।যার ফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হল ৬ জন যার মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন।অন্যদিকে এই ঘটনায় আহত হয়েছে পরিবারের বাকি তিনজন।ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসে পুলিশের পদস্থ বাহিনী।এই ঘটনার সরজমিনে খতিয়ে দেখছেন খোদ পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।আমরা পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছি।
গভীর রাতে রোগীকে ভর্তি করতে নিয়ে আসার পথে দুর্ঘটনা গ্রস্থ অ্যাম্বুলেন্স।এইদিন ঘাটাল থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসার সময় কেশপুর এর পঞ্চমীর কাছে লরির সাথে দুর্ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় মৃত ৬ জন আহত ৩ জন।ঘটনা ক্রমে জানা যায় পেটের যন্ত্রণা নিয়েই মূলত ক্ষীরপাই থেকে অপর্ণা বাগ(২০)তার বাপের বাড়ির লোকেরা সঙ্গে স্বামী শ্যামাপদ বাগ(২৫) কে নিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে আসছিলেন গভীর রাতে।তারা সকলে একটি এম্বুলেন্সে করে মেদিনীপুরে আসছিলেন।অন্যদিকে সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি মেদিনীপুর থেকে কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল।সেই আসার পথে কেশপুর পেরিয়ে পঞ্চমী সংলগ্ন বড় পোলের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।এই ঘটনায় এম্বুলেন্সে থাকা যাত্রীদের বেশির ভাগ আহত এবং নিহত হয়েছে। এই ঘটনার পরই স্থানীয়রা ছুটে আসে, ছুটে আসে পুলিশ প্রশাসন।এই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা,আহত আরও ৩ জন।আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই আহতরা চন্দ্রকোনা ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা। মূলত কয়েকদিন আগেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়।সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এই বিষয়ে সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী,”বলেন এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ওই ঘাটাল ক্ষীরপাই থেকে রোগী এবং রোগীর পরিবার আসছিল।আর সেই সময় কেশপুর সংলগ্ন পঞ্চমীর কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।যে দুর্ঘটনায় চালক খালাসি সহ আক্রান্ত হয়েছে পরিবার।এই দুর্ঘটনায় তিন মহিলা সহ মৃত্যু ঘটেছে ছয়জনের।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন,একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি কেশপুর এর দিকে যাচ্ছিল সেই সময় কেশপুর দিক থেকে আসা এম্বুলেন্স টা মেদিনীপুরের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা।