নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
এবার গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী জঙ্গলমহলের জনপ্রিয় দাঁতাল হাতি রামলাল।রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই ঝাড়গ্রাম শহরে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে রামলাল। রামলাল শহরে ঢুকে পড়েছে খবর চাউল হতেই কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়ে যায় রামলাল কে দেখার জন্য। সকাল ছয়টা থেকে প্রায় সকাল আটটা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শহরের মধ্যে ঘুরপাক খায় রামলাল। তারপর বনদপ্তরের প্রচেষ্টায় রামলাল কে শহরের বাইরে বের করে জঙ্গলে পাঠানো হয়।যদিও রামলাল শহরে ঢুকে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া শ্রীরামপুরের দিক থেকে রামলাল ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বেনাগেড়িয়া হয়ে শহরে ঢুকে পড়ে।বেনাগেড়িয়া হয়ে রামলাল পৌঁছে যায় ফনির মোড়ে।ফনিরমোড় থেকে বাঁদিকে বেঁকে ছবি ফ্ল্যাটের পাশ দিয়ে রামলাল ডানদিকে বেঁকে টেলিকম এক্সচেঞ্জ অফিসের রাস্তায় চলে যায়।টেলিকম এক্সচেঞ্জের রাস্তা থেকে বাঁদিকে বেঁকে মডেল স্কুলের সামনে চলে যায়। তারপর বাঁদিকে বেঁকে সোজা চলে যায় কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের সামনে।কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড হয়ে তরুছায়ার মোড় দিয়ে রামলাল ঢুকে পড়ে সেরিকালচারের অফিসে। সেরিকালচারের অফিসে কিছুক্ষণ কাটানোর পর রামলাল ঝাড়গ্রাম শহরের কাঁটাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়ে।হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরপাক খাওয়ার পর রামলাল চুয়াড়বনের জঙ্গল হয়ে কলাবনির জঙ্গলে প্রবেশ করে।শহরে হাতি ঢুকেছে বিষয়টি বনদপ্তর জানার পরেই ঘটনাস্থলে চলে আসে বনদপ্তরের কর্মী ও ঐরাবত গাড়ি। বনদপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম।
এদিন ডিএফও বলেন,”শহরে একটি হাতি ঢুকে পড়েছিল। তাকে সুরক্ষিতভাবে শহরের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। হাতিটি শহরের মধ্যে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। আমি সাধারণ মানুষজনের কাছে অনুরোধ করব হাতিটি শান্ত মেজাজে রয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহর এমন একটি জায়গায় রয়েছে যেখানে মাঝেমধ্যে হাতি চলে আসে। আমাদের বনদপ্তরের কর্মীরা রয়েছে চিন্তার কোন কারণ নেই। সাধারণ মানুষ জনকে আমি এটাই বলব হাতির কাছে যাবেন না এবং হাতিকে উত্ত্যক্ত করবেন না”।