নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
প্রতিনিয়ত রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাও দুর্ঘটনা ঘটে চলে ব্যস্তবহুল এলাকায়।এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় গাড়ির ড্রাইভার ও ট্রাক চালকদেরই দায়ী করা হয়।তাই দুর্ঘটনা কমাতে এবার চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করল জেলা প্রশাসন।যদিও সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এদিন এই বিষয়ে তদারকি করেন জেলা মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পথ সুরক্ষা অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে বুধবার পরিবহন কর্মী ও ড্রাইভারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির।এই শিবিরের আয়োজক ছিল আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর,জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং সৌজন্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।এইদিন শ্যাম সংঘ হলে প্রায় শতাধিক ট্রাক চালক ও মালিকদের চক্ষু পরীক্ষা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ।এইদিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলার সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী,চক্ষু বিশেষজ্ঞ টিকে ভুঁইয়া সহ বিশিষ্ট জনেরা। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন তরফ থেকে ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক মিথিলেশ মিশ্র,কমল বিদ,সতীশ রাজ বালি,অপূর্ব সামন্ত,রঞ্জিত ঘোষ,জ্যোতির্ময় ব্যানার্জি, বাবলু কুহার,তাপস চক্রবর্তী,বিকাশ রায়, তমজুদ্দিন খান সহ অন্যান্যরা।মূলত জেলা ও রাজ্যে ট্রাক গাড়ি সহ যাবতীয় যানবাহনের দুর্ঘটনা কমাতে সেই সঙ্গে ট্রাক ও মালিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই ধরনের উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের।তবে এই ধরনের কর্মসূচি আগামী দিনে চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের আধিকারিক বৃন্দ।এই অনুষ্ঠানে চক্ষু পরীক্ষা করার পাশাপাশি।এইদিন চশমা প্রদান করা হয় এই মানুষদের।
এ বিষয়ে জেলা মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জী বলেন মূলত জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম শুরু হলো এই যানবাহন চালকদের চক্ষু পরীক্ষা শিবির।যাতে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা কমানো যায়।তাই এক প্রস্থ পরীক্ষা শুরু হলো।এরপর সারা বছরব্যাপী চলবে গোটা জেলায় বিভিন্ন জায়গায়।
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মিথিলেশ মিশ্র বলেন,”যানবাহন চালকদের প্রধান হচ্ছে চোখ।কারণ ড্রাইভারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এক্ষেত্রে এই ধরনের সরকারি কর্মসূচি অনেক দুর্ঘটনা কমাতে পারবে জেলা ও রাজ্যে।আজকে প্রায় শতাধিক চালক ও মালিকদের চক্ষু পরীক্ষা করানো হয় এ ক্যাম্পে”।