নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্ষীরপাই:
গোটা জেলা ও রাজ্যে জাগ্রত কালী ঠাকুরের মধ্যে এক অন্যতম নাম হলো ক্ষীরপাইয়ের 45 ফুটের বড়মা। যেখানে আপনি-ই পুরোহিত।এবছর 24 বছরের পদার্পণ ক্ষীরপাই এর বড়মার।জাঁকজমকভাবে পুজো হবে এই কয়েকদিন।তবে মন্দিরে বড় মায়ের পাশাপাশি বিরাজ করেন পুরনো দিনের ছোটমা।
হাতে মাত্র দুটো দিন এরপরেই বাংলা আর বাঙালির আরেক উৎসব কালীপুজোয় মেতে উঠবে গোটা রাজ্যবাসী।এখন চারিদিকে চলছে সেই কালীপুজোর প্রস্তুতি।তবে রাজ্যের কালী ঠাকুরের পুজো এবং জাগ্রত কালীর যে তালিকা রয়েছে তার জায়গায় ঘিরে রয়েছে ক্ষীরপাইয়ের 45 ফুটের বড়মা।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই পৌরসভার 1 নং ওয়ার্ড চিরকুনডাঙ্গা এলাকায় এই বড়মার মন্দির।কংক্রীটের তৈরি বিশালাকার 45 ফুট উচ্চতার বিশালাকার কালী প্রতিমা যা ভক্তদের কাছে ‘বড়মা’ নামেই পরিচিত।মূলত এবছর বড়মায়ের পুজো 24 বছরে পড়বে।শুধু চন্দ্রকোনা নয় জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা এমনকি ভিনরাজ্যের মানুষও এই কালী মাকে বড়মা নামেই জানে।প্রতিবছর ক্ষীরপাই এর বড়মার পুজোর অপেক্ষায় থাকে অগনিত মানুষ।পুজোর সময় স্থানীয় আশপাশের মানুষ ছাড়াও জেলা ও ভিন জেলার দুরদুরান্তের মানুষও ভিড় জমায় ক্ষীরপাই বড়মার পুজোয়।
এই পুজোর শুরু হওয়া কাহিনী বলতে গেলে বলা যায় আজ থেকে 23 বছর আগে ক্ষীরপাই এর শশ্মানের উপর বড়মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা শুদ্ধদেব রায়।প্রথমে মাটির চালায় প্রতিমা তৈরি করে পুজোর শুরু হয়।যা ছোটো মা নামেই ডাকা হয়।তবে বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় একবার বন্যায় ছোটো মায়ের মাটির চালা ডুবে গিয়ে মুর্তি ভেঙে যায়।যদিও মায়ের একটি ভাঙা হাত রয়ে গিয়েছিল যা এবারের বন্যায় তলিয়ে যায়।বন্যা মিটতেই ছোটো মায়ের মন্দিরের সাথে মুর্তি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।ছোটো মায়ের পাশেই 45 ফুট উচ্চতার কংক্রীটের মায়ের মুর্তি রয়েছে।যা জেলা কেন রাজ্যও এতো বড় মাপের কালী প্রতিমা নেই বলেই মত প্রতিষ্ঠাতা থেকে অগনিত ভক্তদের। পুজোর বিষয়বস্তু হল শশ্মানকালী হলেও এপুজোয় বলি হয়না।সমস্ত রীতি মেনেই এখানে পুজো হয়।
পুজোর পরের দিন হাজার হাজার মানুষ আসে মায়ের খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ার জন্য।অমবস্যা তিথি ও কালীপূজোর সময় ছাড়া বড়মায়ের মন্দিরে থাকেনা কোনও পূজারী।তিথির সময় ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্তের অগনিত মানুষ মায়ের দর্শনে আসেন।তারা নিজেরাই নিজের মতো করে মায়ের পুজো দিতে পারে পুরোহিত ছাড়াই।