নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ী:
রবিবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় কেশিয়াড়ি দর্পন সমাজসেবী সংস্থার উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন হল স্থানীয় রজনীকান্ত মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।সমাজে অপেক্ষাকৃত অবহেলিত মানুষজনকে এনে সর্বজনীন ভাইফোঁটার আয়োজন করলো দর্পন।
মূলত এদের কেউ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, আবার কেউ কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন,আবার কেউ বা কোন অনাথ আশ্রমে বড় হচ্ছে, কারো বা দিদি-বোন নেই।এমন প্রায় ৩৫ ছন ব্যাক্তির কপালে চন্দনের ফোঁটা দিলেন সংস্থার মহিলা সদস্যারা।শুধু ফোঁটা নয়,তাঁদের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হল নতুন বস্ত্র এবং মিষ্টির প্যাকেট। পাশাপাশি ফোঁটা দেওয়া হয় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ , সদস্যবৃন্দ সহ সমবেত জনতাকে।এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক পরেশ মুর্মু,লোক কবি পরেশ বেরা,কেশিয়াড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিশিকান্ত জানা,হাতিগেড়িয়া অনাথ আশ্রমের প্রধান অপরেশ ব্লিস।
শিক্ষক অখিলবন্ধু মহাপাত্র,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কবি প্রদীপকুমার মাইতি,অধ্যাপক ও সাহিত্যিক সৈকত আলি শাহ,শিক্ষক সুদীপকুমার খাঁড়া,আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব-গ্রুপের বিশ্বজিৎ পাল,সমাজকর্মী শুভম দাস অধিকারী,বরুণ পাল,সুনীতা প্রধান,সুমন মন্ডল,কিশোর রক্ষিত,তপন দে,উত্তম খুইলা,সমীর রাউৎ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।উপস্থিত সকলেই এধরণের মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।সকল অতিথি ও দর্শকদের স্বাগত জানান সংস্থার অন্যতম কর্ণধার প্রদীপ শাসমল।প্রদীপবাবু জানান এবার এই উদ্যোগ দ্বিতীয় বর্ষের।উপস্থিত ছিলেন দর্পণ সংস্থার সম্পাদক তাপস সাহু সহ সভাপতি চন্দন দাস, কোষাধক্ষ যীশু সিং সহ অন্যান্যরা।ছিলেন অন্যান্য সমাজসেবী সংস্থা এব মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এদিনের সর্বজনীন ভাইফোঁটা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বহু মানুষ এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
উল্লেখ্য এই সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সারাবছর ধরে বহ সমাজসেবা মুলক কর্মসুচীর উদ্দোগ নেওয়া হয়ে থাকে।