নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ঢাকলো কুড়ি কেজি সোনাতে আর সেই সোনা পাহারা দিতে অস্ত্র নিয়ে হাজির সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী।যা দেখতে ভিড় জমালো দর্শনার্থীরা। 15 তম বর্ষে পদার্পণকারী এই আবির্ভাবের পূজোর এবারের বাজেট প্রায় 25 লক্ষ টাকা।পুজোর কটা দিন থাকছে ব্যান্ডের নাচাগানা অনুষ্ঠান।
দুর্গা,কালীর পর এবার চলছে জগধাত্রী পুজোর পর্ব।তবে চন্দননগরের পাশাপাশি এখন জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে ও জগধাত্রী পূজার রমরমা ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে।এবছরও বেশ কয়েকটি বড় বড় জগধাত্রী পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে মেদিনীপুর জুড়ে।তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে মেদিনীপুর শহরের আবির্ভাব ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজো।মূলত রাজবাড়ীর আদলে মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে।তবে জগধাত্রী মা পুরোপুরি কুড়ি কেজি সোনাতে মুড়ে ফেলা হয়েছে।আর তা দেখতে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।যদিও এই সোনা পাহারায় রয়েছে অস্ত্রসস্ত্রসহ কুড়িজন পুলিশ প্রশাসন।যা ঘিরে বিপুল উন্মাদনা মেদিনীপুর শহরে।এই আবির্ভাবের পূজো এ বছর 15 তম বর্ষে আর এবারে তাদের বাজেট প্রায় 25 লক্ষ টাকা।যদি ওই জগধাত্রী প্রতিমার সোনা দিয়েছে একটি অলংকার কোম্পানি।আর এই সোনা পাহারা দিতে হিমশিম খাচ্ছে,কর্মকর্তারা।
কারণ এই প্রতিমা এবং প্রতিমার গয়না দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষজন।যদিও এত দর্শককে কিভাবে সামলাবেন সেই নিয়ে চিন্তায় কর্মকর্তারা।এই পুজো কটা দিন বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন এই পুজো কমিটি। থাকে ব্যান্ডের নাচা গানা।
এ বিষয়ে আবির্ভাব ক্লাবের কর্মকর্তারা বলেন বহুদিনের ইচ্ছে ছিল এই প্রতিমাকে সোনা পরাবো।এখানের এক সোনা কোম্পানি তারা এগিয়ে আসে এবং সকলের প্রচেষ্টায় মাকে এই রূপ দেওয়া গেছে।তবে এই সোনা ইন্সুরেন্সের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন তার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করেছে।এছাড়া ভোট চলাকালীন পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।আমাদের থেকেও নিরাপত্তাকর্মী থাকছে এই সোনা পাহারা দিতে।