
নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
বাঘিনী জিনাতের পর এবার বেলপাহাড়িতে ঢুকে পড়ল বাঘ।নিশ্চিত করল বন দফতর।বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা,এআই ক্যামেরা দিয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বনদপ্তর। কোথাকার বাঘ বা তার এখন গতিবিধি কোন দিকে তা নিয়ে অন্ধকারে বনদপ্তর।বারবার কিসের খোঁজে বাঘ আসছে জঙ্গলমহলে তা নিয়েও উত্তর খুঁজছে বনদপ্তর।

এই সদ্য জিনাতকে ঘুম পাড়িয়ে পাঠানো হয়েছে উড়িষ্যা রাজ্যে,তারই মধ্যে আবার নতুন করে বাঘের আতঙ্ক জঙ্গলমহল ঝাড়্গ্রামে। ঘটনা ক্রমে জানা যায় গত রবিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিয়ার্ডি ও চিটামাটি গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গলের রাস্তায় একাধিক বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়।এছাড়াও জঙ্গলে কুরকুট সংগ্রহ করতে যাওয়া গ্রামবাসীরাও দাবি করেন তারা বাঘ দেখেছে।এই বিষয়টি সামনে আসতেই গুরুত্ব সহকারে দেখে বনদপ্তর। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের কর্মীরা এবং ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও ওমর ইমাম।সারাদিন বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডিএফও ওমর ইমাম বলেন ,”পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পুরুষ বাঘ ঢুকে পড়েছে।

বাঘটি কোথা থেকে এসেছে,সেই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না। বাঘের গতিবিধির উপর সব সময় নজর রাখা হবে।রাস্তা পারাপারের সময় আমরা বিশেষ করে নজর রাখছি কারণ জিনাতের মতো এর গলায় রেডিও কলার নেই”।বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে,চারদিকে যে সীমানা রাস্তা রয়েছে তা চেকিং করা হচ্ছে।বাঘ কোন রাস্তা ক্রশ করছে কিনা তা জানতে ৫ টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং তিনটে এআই ক্যামেরা বসানো হয়েছে এলাকায়।তারা পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছে,গ্রামবাসীদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা ধীরেন মুর্মু বলেন,”আমরা বেশ কয়েকজন জঙ্গলের মধ্যে কুরকুট সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম।তখন আমি দেখেছি জঙ্গলের মধ্যে একটি বড় জন্তু।আমার দেখে মনে হয়েছে এটা বাঘ গায়ের রংটা হালকা লাল রয়েছে।দেখার পরে জঙ্গল থেকে আমরা ছুটে পালিয়ে যায়”।গ্রামবাসীরা যাতে কোন ভাবে আতঙ্ক না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বনদপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেলপাহাড়ির এসডিপিও শ্রেয়া সরকার।

ডিএফও আরো জানিয়েছেন,”জিনাত থাকাকালীন যেভাবে প্রতিদিন সকালে গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে সতর্ক করা হতো সেই ভাবে সতর্ক করা হবে এবং প্রতিনিয়ত মাইকিংও করা হবে।গ্রামবাসীদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ জঙ্গলে কেউ যেন না যায়”।