
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার প্রিন্সিপাল সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ নেমে পড়ল মেদিনীপুর কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।তাদের দাবি অবিলম্বে সাসপেনশন রদ সেই সঙ্গে অভিযোগ প্রত্যাহার। যা নিয়ে ফের নতুন করে উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে।যদিও শেষ একে একে করে হাসপাতাল সুপার,CMOH শেষ পর্যন্ত প্রিন্সিপাল ঘেরাও থেকে উঠে চলে যান।যদিও শেষ পর্যন্ত বড় আন্দোলন থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

কাজে কর্মবিরতি নয় এবার ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে নামলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।সেই ঘেরাওয়ে মেদিনীপুর মেডিকেলে কলেজে বসে থাকলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী,জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীক সৌম্য শঙ্কর সড়ঙ্গী,বর্তমান মেডিকেল কলেজ সুপার ইন্দ্রনীল সেন, প্রাক্তন মেডিকেল কলেজ সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত সহ একাধিক স্বাস্থ্যকর্তা। যার জেরে নতুন করে উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।প্রসঙ্গত এক প্রসূতির মৃত্যু ও স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ৬ পিজিটি জুনিয়র ডাক্তার সহ ১২ জন ডাক্তারের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।পাশাপাশি তাদের সাসপেনশন অর্ডার দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসার গাফিলতির জন্য। যে ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযোগ হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।


অন্যদিকে স্বাস্থ্য টিম সিআইডির পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এই কান্ড খতিয়ে দেখতে ছুটে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশন।কমিশন সদস্য অর্চনা মজুমদার এদিন তড়িঘড়ি,মেদিনীপুর কলেজের সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকল ডাক্তার মেডিকেল,কলেজ সুপার ও সেই সঙ্গে প্রিন্সিপাল ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে বৈঠকে বসেন।সেই বৈঠক চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তাররাও ঢুকে পড়েন রুমে।যদিও তাদের বের করে দিয়ে বৈঠক জারি থাকে।

এরপর বৈঠক শেষে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বেরিয়ে গেলেই গেট লাগিয়ে বাকি মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য কর্তাদের ঘেরাও শুরু করে দেন এই জুনিয়র ডাক্তাররা।জুনিয়র ডাক্তাররা এইদিন এই নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখ না খুললেও তারা দাবি জানান অবিলম্বে তাদের সাসপেনশন রদ করতে হবে সেই সঙ্গে অভিযোগ প্রত্যাহার। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে।

যদিও এই নিয়ে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলেন একটা প্রক্রিয়া চলছে এর মধ্যে জাজমেন্ট দেওয়া সম্ভব না আমার।পাশাপাশি তিনি এভাবে বলেন পুরোটাই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে সেখানে কোন মন্তব্য করা যুক্তিযুক্ত নয়।যদিও এই ঘটনায় এদিন রাজ্যে গ্রিভান্স সেল থেকে সৌরভ দত্ত এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে। অন্যদিকে নতুন করে শ্বেতা সিং নামে আরেক ডাক্তারের নাম জুড়লো এই প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়।সূত্র অনুযায়ী এদিন জুনিয়র ডাক্তারেরা সিআইডির কর্তাদেরও মেইল করেছেন তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য।