Mass Marriage: খড়গপুরে বসলো মহিলা পুরোহিত দ্বারা গন বিবাহ এর আসর!উদ্যোক্তা মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব ও ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশন

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:

এবার গণবিবাহের আসার খড়্গপুর।মহিলা পুরোহিত দ্বারা বিবাহ দেওয়া হল চার জোড়া পুরুষ মহিলার।পাশাপাশি এই দুঃস্থ পাত্র-পাত্রী দের যৌতুক হিসেবে খাট পালঙ্ক সেই সঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করল খড়গপুরের মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব ও ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশন। এই বিবাহ দেওয়ার ফলে ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অর্গানাইজেশন এর গণবিবাহের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৪৪ জোড়া।

গণবিবাহের মধ্য দিয়ে একাধিক দুঃস্থ পাত্র-পাত্রীকে নতুন দিশা দেখাতে উদ্যোগ নিয়েছে খড়গপুরের মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব ও ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশন।এই গণবিবাহ শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় পাশে রাজ্য উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড রাজ্যে হয়ে থাকে ত্রিবেনী যুব জনকল্যাণ অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে।মুলতবিআর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সমাজের বেশ কিছু পাত্র-পাত্রীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে সাংসারিক জীবনে নতুন দিশা দেখাতে বৃহস্পতিবার রাত্রে খড়গপুরের মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব প্রাঙ্গণ মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশনের যৌথ আয়োজনে গনবিবাহের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা গেছে মোট চার জোড়া দম্পতির বিবাহের আয়োজন হয়। গণবিবাহের উল্লেখ যোগ্য বিষয় এই গণবিবাহ চারজন মহিলা পুরোহিত দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করা হয়।

এখনোও পর্যন্ত মোট ২৫৪৪ জোড়া পাত্র-পাত্রী বিবাহ দেওয়া হয়েছে এই গণবিবাহের মাধ্যমে।এই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, ক্লাবের সম্পাদক সুদীপ সরকার,ত্রিবেণী যুব জনকল্যাণ অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সনাতন দাস, সংগঠনের কোষাধক্ষ্য অনুপ কর সহ অন্যান্য বিশিষ্ট সমাজসেবীরা। গণবিবাহে পাত্র-পাত্রীদের সামাজিক জীবনকে আরো ভালো করে সাজিয়ে তুলতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সামগ্রী।যেমন খাট বিছানা, আসবাসপত্র থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।আর তাতেই খুশি দম্পতি থেকে শুরু করে পরিবার-পরিজন।মালিঞ্চা স্বাধীন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ত্রিবেনী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশনের’এইরকম উদ্যোগ কে এলাকার মানুষজন সাধুবাদ জানিয়েছে।

এই বিষয়ে ত্রিবেণী যুব কল্যাণ অরগানাইজেশন কর্ণধার সনাতন দাস বলেন,”আমরা আমাদের কাজই হল দুস্থ পরিবারের মেয়েকে একটি সুখী সংসার দেওয়া এবং সুন্দর জীবন দেওয়া।তার লক্ষ্যেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা এই কাজ করে চলেছি।পাশাপাশি সমাজে বাল্যবিবাহ,নাবালিকা পাচার যাতে বন্ধ করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই এই organization এর পথ চলা শুরু হয়েছিল। শুধু জেলা না জেলা বাদেও ভিন্ন রাজ্যে ও আমরা এ ধরনের কাজ করে থাকি।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in