
নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনী:
পশ্চিম মেদিনীপুরে বিশেষ ভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করল শালবনি থানার পুলিশ।ধৃতেরা হলেন সোমনাথ সরেন,রঞ্জন মাহাত এবং বিদ্যাচরণ মাহাত।বৃহস্পতিবার ধৃতদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এবার বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে গণধর্ষণ তিন যুবকের যা নিয়ে তোলপাড় হল শালবনী।যদিও এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী,” ওই তরুণী জন্ম থেকেই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এই তরুণী ছোট থেকে দাদা-বৌদির কাছেই মানুষ।মাস ছয়েক আগে ৩৬ বছরের ওই তরুণীর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে এক যুবক ধর্ষণ করে।পরে সেই অভিযুক্তের আরও দুই বন্ধু ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। কিন্তু তরুণী বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় তিনি তা বুঝতে পারেননি।এই ঘটনার প্রায় ছ’মাস পরে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।পুলিশ সূত্রের খবর,গত কয়েকদিন ধরেই তরুণীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাঁর বৌদির সন্দেহ হয়।

এর পর তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁর বৌদি পুরো ঘটনাটা জানতে পারেন।তরুণীর মুখ থেকে সমস্ত বিষয়টা শুনে দাদা-বৌদি তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার চিকিৎসক জানান,ওই তরুণী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপরই বুধবারই ওই তিন অভিযুক্ত যুবকের নামে থানায় তরুণীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বুধবার রাতেই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে শালবনি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ইতিমধ্যেই তরুণীর বৌদির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে তরুণীর মেডিক্যাল টেস্টও করানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।