
নিজস্ব প্রতিনিধি:
এবার চোখের জলে আশ্চর্য ঔষধ।মূলত বিকানেরের ‘ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন ক্যামেল’এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দাবি করেছেন, উটের কান্নায় আশ্চর্য ঔষধি গুণ রয়েছে। এর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি অনেক। এমনকি, উটের চোখের জল থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি গুলি সাপের বিষের সঙ্গে লড়াই করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিকানেরে ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন ক্যামেল (NRCC) এর দাবি উটের কান্নায় রয়েছে আশ্চর্য ঔষধ গুন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক।মানুষ দুঃখ পেলে কাঁদে কখনো কখনো আনন্দ কেঁদে ওঠে।শুধু মানুষ নয় এর সঙ্গে বিভিন্ন জীবজন্তু পশু পাখি সবাই দুঃখ কষ্টে চোখের জল ফেলে।কি চোখের জল দেখতে ছোট ছোট জলকণার মতো মনে হলেও তা বেশ অর্থবহ এবং গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মানুষ চোখের জল নিয়ে নানা কথা বলে আসছে।কিন্তু চোখের জল সবসময় দুঃখের বহিঃপ্রকাশ নয়।সব মিলিয়ে চোখের জল এক জন মানুষের অনুভূতির প্রতীক। তবে এমনও চোখের জল আছে, যা অত্যন্ত মূল্যবান।অন্তত তেমনটাই মনে করা হচ্ছে একটি গবেষণায়। চোখের জল মূল্যবানের তালিকায় রয়েছে উটের চোখের জল।উট পরিচিত ‘মরুভূমির জাহাজ’ হিসাবেও।কারণ,কাঠফাটা রোদ এবং শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও পিঠে মালপত্র চাপিয়ে দীর্ঘ পথ যাত্রা করতে পারে এই নিরীহ প্রাণী।

কিন্তু এই নিরীহ প্রাণীর চোখের জলে রয়েছে আশ্চর্য গুন এনআরসিসি-র ওই গবেষণা বলছে,২৬টি সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রয়েছে উটের চোখের জলে।এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে সাপের দংশন সংক্রান্ত চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে।এর ফলে উট পালনকারী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি উটের উপর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন এনআরসিসি-র গবেষকেরা।তার মধ্যে অন্যতম বোড়া সাপের বিষ দিয়ে তৈরি টিকা উটের শরীরে প্রবেশ করানো।সেই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাপের বিষের কার্যকারিতা কমাতে দারুণ কাজ করছে উটের চোখের জল এবং সিরাম থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সাপের কামড়ে রক্তক্ষরণ এবং বিষের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার প্রভাবও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাচ্ছে সেই অ্যান্টিবডি প্রয়োগের কারণে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এই উটের চোখের জল আশ্চর্যভাবে কাজে লাগতে পারে সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে।