
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
আগামী ৮ ই আগস্ট মহা বৈঠকের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই খবর তৃণমূল সূত্রে।মূলত গত মার্চ মাসে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আবহে ফের একই বহরে বৈঠক ডাকলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামী ৮ অগস্ট বিকাল ৪টের সময় শুরু হবে সেই বৈঠক।

বলা চলে এখন চারিদিকে এস আই আর নিয়েও উত্তপ্ত পরিস্থিতি।এরই মধ্যে বছর ফুরোলেই বিধানসভা নির্বাচন।এই আবহে এবার বড় মাপের বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।যদিও এই বৈঠক ভার্চুয়াল হওয়ার কথা রয়েছে।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে,দলের সমস্ত জেলা সভাপতি, সাংসদ, বিধায়ক,পুরনিগমের মেয়র, ডেপুটি মেয়র,চেয়ারম্যান, পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান,জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্য,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি দলের শাখা সংগঠনগুলির সভাপতি,মূল দলের রাজ্য কমিটির সকল সদস্য এবং কলকাতা পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলরকেও থাকতে বলা হয়েছে এই বৈঠকে। বীরভূম এবং উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে কোর কমিটির সমস্ত সদস্যকে ডাকা হয়েছে।

ক্যামাক স্ট্রিটের হিসাব, ৪ হাজারেরও বেশি নেতা যোগ দেবেন ৮ অগস্টের ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সর্বস্তরের নেতাদের মহাসম্মেলন করে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন,একই এপিক নম্বরে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন লোকের নামে ভোটার কার্ড রয়েছে। তা ধরতে সাংগঠনিক স্তরে কর্মসূচি শুরু করেছিল তৃণমূল।যাতে পুরোদস্তুর জুড়ে ছিল পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাক।এ বার এসআইআর এবং নতুন ভোটার তালিকা তৈরির বিষয়ে যখন নির্বাচন কমিশন মহড়া শুরু করেছে, তখন তৃণমূলও সাংগঠনিক প্রস্তুতিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছে।সাম্প্রতিক বীরভূম সফরে মমতা একাধিক বার দলের নেতাদের প্রকাশ্যেই বার্তা দিয়েছেন,ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই কাজ কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেই বিষয়েই নির্দেশ দেবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে আর মাস আটেক বাকি রয়েছে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের। ক্যামাক স্ট্রিট সূত্রের খবর, ৮ তারিখের বৈঠক থেকে বুথ স্তরে প্রচারের ভাষ্য তৈরির নকশাও বলে দেওয়া হবে। স্থানীয় স্তরে জনসংযোগ ঝালিয়ে নিতে বিশেষ কোনও কর্মসূচিও দেওয়া হতে পারে। যা নিয়ে রীতিমতো প্রস্তুত হচ্ছে জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতৃত্ব।

এক কথায় বলা যায় পুজোর আগে এই মহা বৈঠকের পরেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে তৃণমূল।