
সবং 9 ই সেপ্টেম্বর:
দিনের পর দিন নিজের পিসেমশাই হাতেই নির্যাতিত নাবালিকা। পরিবারকে জানাতে গেলে প্রাণহানির হুমকি। অবশেষে তৃতীয় শ্রেণীর এই পড়ুয়া আর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মা-বাবাকে খুলে বলে। এরপরই থানায় অভিযোগ।অবশেষে গ্রেফতার হয় গুণধর।তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।

এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তাও দিনের পর দিন ধরে।আর সেই ঘটনায় অবশেষে অভিযোগ পেয়ে পিসেমশাইকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এরকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শেষ প্রান্ত সবং এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় সবং এর এক ৯ বছরের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে নিজের পিসেমশাই, বছর ৪২ এর অভিযুক্ত লালু খান প্রায় দু’ই বছর ধরে নানান অজুহাতে দিনের পর দিন ধর্ষন করে এসেছিলো।প্রায় বছরখানেক ধরে চলে এই কুকীর্তি।এই
ঘটনার কথা বাইরে জানালে দা দিয়ে গলা কেটে প্রানে মারার হুমকী দিয়ে রাখতো এই অভিযুক্ত।দিনের দিন অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে ঘটনার কথা মাকে জানালে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন।গতকাল সোমবার থানায় অভিযোগ করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয় সবং থানার পুলিশ।রাতেই গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে।

এইদিন নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করে অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয় মেদিনীপুর সিজিএম আদালতে।এই ঘটনায় নাবালিকার মা কান্নায় ভেঙে পড়ে।তিনি দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন।দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সবং থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সবং জুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদি ওই দিন অভিযুক্ত কে আদালতে তুললে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই গুণধর এর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক কুকীর্তির অভিযোগ উঠেছিল।

এ বিষয়ে সবং থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন এই ঘটনাটা অনেকদিন ধরেই চলছিল।নাবালিকাকে বারে বারে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল যাতে বাইরে না বলে ফেলে।আমরা আজ আদালতে হাজির করায়।তিন দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য মেদিনীপুর সিজিএম আদালত।আমরা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি তদন্তে এগোব।