Daspur Incident: দোকানের মধ্যেই হাত পা বাঁধা অবস্থায় মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী!CCTV বন্ধ দেখে খুনের অভিযোগ পরিবারের

Share

দাসপুর 5 ই অক্টোবর:

কলকাতার বরানগরে দোকানের মধ্যেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার।খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে পরিবার।বন্ধ কেন CCTV তারও প্রশ্ন করছে পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।

এবার নিজের দোকানের মধ্যেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার মৃত ব্যবসায়ীর দেহ,যা নিয়ে চাঞ্চল্য সংশ্লিষ্ট এলাকায়।বরানগরে সোনার দোকানের মধ্যেই খুন দাসপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ! নাম সংকর জানা বাড়ি দাসপুরের বেলিয়া ঘাটাল বৌদ্য পুর, বন্ধ দোকান খুলতেই উদ্ধার হাত-পা বাঁধা মালিকের দেহ। বরানগর থানা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে খুন ! কারা জড়িত? বরানগরে ভর দুপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন। দোকানেই পড়েছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা দেহ। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল মৃতের। বরানগরের শম্ভুনাথ দাস লেনে সোনার দোকানের মধ্যেই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা।পুজো মিটতেই ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।সূত্রের খবর,দোকানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ দেখতে পেয়ে দিল্লি থেকে ফোন করেন ব্যবসায়ীর ছেলে।

তারপরেই বন্ধ সোনার দোকান থেকে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।কীভাবে,কাদের হাতে খুন হলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী শঙ্কর জানা?এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। দোকানের ভিতরের ক্যামেরা বন্ধ করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। দোকানের ভিতর থেকেই হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে শঙ্কর জানার দেহ। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় দোকানে একাই ছিলেন শঙ্কর জানা। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ক্রেতা সেজে এসেছিল ৫ দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে ২ জন পাহারায় ছিল বাইরে। ভিতরে ঢোকে ৩ জন। কত পরিমাণ সোনা লুঠ হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দোকানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ দেখে দিল্লি থেকে ফোন করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে। এরপর দোকান থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা দেহ।

দুপুরবেলায় আশপাশের দোকান বন্ধ ছিল। সেই সুযোগেই হামলা চালায় আততায়ীরা। দোকানের উল্টোদিকের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ হেন ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ভয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা। দুপুর ৩টে থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। এখনও একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। খুনের আগে পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা চালু ছিল। তারপর ক্যামেরা বন্ধ করে খুন করা হয় ব্যবসায়ীকে। দোকানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ দেখেই সন্দেহ জাগে মৃতের ছেলের মনে। ফোন করেন তিনি। এরপরই উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ।

এই বিষয়ে মৃতের ভাই সন্তোষ জানা বলেন,”অনেক বছর ধরেই কলকাতায় আমার দাদার সোনার দোকান রয়েছে।সেখানেই দাদা থাকতে এবং ব্যবসা করতেন। কিন্তু গতকাল দুপুর বেলায় সিসিটিভি বন্ধ দেখে আমার ভাইপো ফোন করেছিল।এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখে তদন্ত করছে।আমাদের অনুমান দুষ্কৃতিরা দোকানে ঢুকে সিসিটিভি বন্ধ করে মারধর করে লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে খুন করেছে দাদাকে।

এরপর দাদাকে বেঁধে দোকানের শাটার নামিয়ে চলে যায়।যদিও দাদার ছেলে দিল্লি বেড়াতে গেছে। ও এলেই আমরা কলকাতায় যাবো।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in