Manasa Puja:মনসা পূজার খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ 150 ভক্ত!গ্রামে বসল মেডিকেল টিম

Share

দাসপুর 19 ই অক্টোবর:

এবার পুজোর প্রসাদ খেয়ে পেটের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হলো গোটা গ্রামবাসী যা নিয়ে চাঞ্চল্য দাসপুর এলাকায়। মূলত পাড়ার মনসা পূজো খিচুড়ি খাওয়ানো হচ্ছিল। সেই খিচুড়ি খেয়েই বমি ও পায়খানার সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে গ্রামবাসীরা। অসুস্থ প্রায় দেড়শ জন গ্রামবাসী যার মধ্যে মহিলা পুরুষ রয়েছে।এদিন এলাকায় বসলো মেডিকেল টিম তবে পরিস্থিতি আয়ত্তে রয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য আধিকারিকের।

ঠাকুরের প্রসাদ খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ প্রায় দেড় শতাধিক যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য দাসপুর এলাকায়। প্রসঙ্গত এর আগে ঘাটাল দাসপুরের এলাকা জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে তথৈবচ অবস্থা ছিল।কিন্তু পুজোর মরশুমে এবার খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হলো দেড় শতাধিক।ঘটনা ক্রমে জানা যায় দাসপুর থানার সুরতপুর গ্রামে বারোয়ারি মনসা পূজো হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। সেই পুজো উপলক্ষে শনিবার রাতে পুজো কমিটির তরফ থেকে খিচুড়ি প্রসাদের আয়োজন করা হয়। সমস্যা শুরু হয় খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি ফিরে যাবার পর। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫০ মানুষ এই খিচুড়ি প্রসাদ খায়। বিশেষ করে সুরতপুরে পাশাপাশি পাশের গ্রাম খড়দা বিষ্ণুপুর ও রূপনারায়ণপুর গ্রামেরও বেশ কিছু মানুষ এই পুজোতে অংশ নিয়েছিলেন।বাড়ি ফিরে যাবার পরই বেশির ভাগেরই বমি পায়খানার সমস্যা।

এরপর পরিস্থিতি খারাপ হলে একে একে ভর্তি হতে থাকেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে।পাশের গ্রাম খড়দা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বছর ৫৫ এর গঙ্গা মান্না তার বৌমা সন্ধ্যা মান্নাকে নিয়ে ওই রাতে সুরতপুরের ওই পুজোয় যান।ওই খিচুড়ি খাবার পর অসুস্থ শাশুড়ি বৌমা এখন হাসপাতালে ভর্তি।পরিস্থিতির গুরত্ব বিবেচনা করে দাসপুর ১ বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস রাত থেকেই অসুস্থদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। শনিবার রাত কেটে যাওয়ার পর রবিবার সকাল থেকেই দাসপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।অসুস্থদের চিকিৎসা চলছে। অবস্থার অবনতি দেখলেই অসুস্থদের পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে।সাত সকালে ওই গ্রামে পৌঁছান দাসপুর ১ বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস, দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান প্রত্যেকেই। সংগ্রহ করা হয়ে ওখানে ব্যবহৃত জলের নমুনা।সূত্রে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এক বার্তায় জানান জানান মেদিনীপুর জেলার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সংকর সড়ঙ্গী।

এ বিষয়ে অসুস্থ সালু সিং,ময়না মন্ডল বলেন,”গতকাল ঠাকুরের প্রসাদ হিসেবে আমরা খিচুড়ি খেয়েছি।এরপর এই বাড়িতে ফিরে এসে অনেকবার পায়খানা গিয়েছি এর সঙ্গে বমিও করেছি।এরপর অসুস্থ হলে আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দৌড়ে আসি।আমাদের মনে হয় ওই খিচুড়ির মধ্যে কোন রকম বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে।

অন্যদিকে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চিন্ময় চক্রবর্তী বলেন,”গতকাল ঠাকুরের প্রসাদ থেকে কোন কারনে বিষক্রিয়া হয়ে এই মানুষদের পেটের সমস্যা হয়েছে। রাত থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরে বিভিন্ন কর্মী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা আমরা করেছি।সকাল থেকেই মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে।আমরা খোঁজ খবর রাখছি যাতে বড় কিছু না হয় সেদিকে নজর রয়েছে আমাদের।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in