
ঘাটাল 9 ই নভেম্বর:
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজের গতি বাড়াতে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ঘাটাল টাউন হলে বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ সেচ মন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়ার।সেই বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তথা অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনীষ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ,ঘাটালের মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চ্যাটার্জী সহ জেলা,মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।

আবার সরব হলো মন্ত্রী মানস!এবার বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলো রাজ্যের মন্ত্রী।মূলত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজের গতি বাড়াতে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঘাটাল টাউন হলে বৈঠক করেন সেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।এই বৈঠকে সেচ মন্ত্রীর দাবি নদী বক্ষে পলিকাটা ও গভীরতা বাড়ানো দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র সরকার।ঘাটালে ৬ বার বন্যা হয়ে গেল যা এই ২৬ বছরের ইতিহাসে বছরে ২/৩ বার বন্যা হয় ঘাটালে কিন্তু এবার ৬ বার।উত্তরবঙ্গে ৭২ টি ভুটানি নদী ধ্বংস করে দিল উত্তর বঙ্গের কোচ বিহার, আলিপুরদুয়ার,জলপাই গুড়ি,শিলিগুড়ি।কত মানুষের প্রাণ গেছে পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে, গাছ ভেসে যাচ্ছে কি বীভৎস অবস্থা,মুখ্যমন্ত্রী ছুটে গেছেন দুবার, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।কেন্দ্র একটি পয়সাও দুর্যোগ মোকাবিলায় দেয়নি।কর্নাটকে এবং মহারাষ্ট্রে দিয়েছে বাংলা পাইনি, বঞ্চিত।

কারণ কেন্দ্র সরকার চায় বাংলাকে জব্দ করতে,বাংলার মানুষকে জব্দ করতে, ঠিক ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানেও কেন্দ্র সরকার একটি টাকাও দেয়নি। এভাবেই কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করলেন সেচ মন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়া।ঘাটাল মাস্টার প্লানে নো কষ্ট ড্রেজিং ৪৬৮ নদী খাল সংস্কার হবে,আমাদের হাতে যেটুকু টেকনোলজি আছে,যেটুকু টেকনিক্যাল সরঞ্জাম আছে ইচ্ছুক এজেন্সি গুলো এগিয়ে আসছেন,এটা একটা ঐতিহাসিক বুনিয়াদ তৈরি হবে সারা ভারতের মধ্যে বাংলায়।

প্রসঙ্গত এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দীর্ঘ টাল বাহানা চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে।এখন দেখার,’কবে হয় এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ ‘ তার দিকে তাকিয়ে ঘাটাল বাসী।