
খয়রুল্লা চক 15 ই নভেম্বর:
হঠাৎপল্লী র পর মেদিনীপুরে আরো এক বাংলাদেশী কলোনির হাদিস! ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই, এসআইআর আবহে চাপা উৎকণ্ঠা মেদিনীপুর সদর ব্লকের খয়রুল্লা উত্তরপাড়া এলাকায়। যদিও এই সকল মানুষদের আশ্বস্ত করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি।

এখন গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে এসআইআর আতঙ্ক। একদিকে চলছে ফরম ফিলাপ অন্যদিকে লিস্টে নাম না থাকায় তাদের কি হবে সেই চাপা আতঙ্কই গোটা রাজ্যজুড়ে।তারই মধ্যে আরও এক হঠাৎ পল্লীর খোঁজ জেলায়! মূলত ২০০৫ সালের পর থেকেই মেদিনীপুর শহরের থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সদর ব্লকের খয়রুল্লা এলাকায় গড়ে ওঠে নতুন কলোনি। আর এই কলোনিতেই অল্প দামে জমি কিনে বসবাস শুরু করেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীরা। খয়রুল্লা উত্তরপাড়ার এই কলোনিতে বসবাস ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবারের। বেশিরভাগ বাড়ির সদস্যরাই বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বনগাঁ সীমান্ত পার করে। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের দাবি, মুসলিমদের অত্যাচারে তারা পালিয়ে এসেছেন এদেশে। কিন্তু কেউই বৈধ উপায় আসেনি দেশে।

দালাল মারফত বনগাঁর সীমান্ত পেরিয়ে পরিবার পিছু কেউ ৫০০০ হাজার টাকা, আবার কেউ জনপ্রতি ২০০০ টাকা ঘাটের করে খরচ করে এসেছেন এদেশে।এস আই আর এর এনামুরেশন ফ্রম পেয়েছেন প্রত্যেকেই। কিন্তু ওর নাম নেই ২০০২ এর ভোটার তালিকায়। আর এতেই চিন্তা বাড়ছে শরণার্থীদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে তাদের যে ভরসা রয়েছে তাও স্পষ্টতই জানিয়ে দিচ্ছেন তারা। তারা প্রত্যেকেই চায় কেন্দ্রীয় সরকার CAA এর মধ্যে দিয়ে নাগরিকত্ব দিক তাদের।

তবে কত দিনে তারা বৈধ নাগরিকত্ব পাবে তা নিয়েই চিন্তা বাড়ছে শরণার্থীদের মধ্যে। যদিও এই নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছে তৃণমূল বিজেপি উভয়ই।