নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
আর দশটা মানুষের মতন কেক কেটে নয় বরং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জন্মদিন পালন করলেন স্মৃতিকণা মাইতি।পুজোর প্রাক্কালে নতুন কাপড় জামার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করান এই মাইতি পরিবার।পরিবারের বক্তব্য এভাবে মানবসেবার মধ্য দিয়েই মানুষের পাশে থাকতে চায়।
এখন জন্মদিন পালন মানে কেক কেটে বন্ধুদের মধ্যে মাখিয়ে দিয়ে বেলুন ফাটিয়ে বড় করে জমজমাট পার্টি দেওয়া হল নতুন ট্রাডিশন।অনেকে আবার জন্মদিন পালন করছে নিজের স্পেশাল লোককে নিয়ে কোন রিসোর্ট অথবা পাহাড়,সমুদ্রে। কিন্তু মেদিনীপুর শহরের মাইতি পরিবার তার জন্মদিন পালন করল মানব সেবার এবার মধ্য দিয়ে।প্রসঙ্গত,মেদিনীপুর শহরের সমাজসেবী অনয় মাইতিকে কে না চেনে।যিনি নিজের ওয়ার্ডে তো বটেই তেমনি শহরের যে কোন প্রান্তে অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। কখনো আবার বিশেষ ভাবে সক্ষম ছেলেমেয়েদের ট্রাই সাইকেল তুলে দিয়েছেন নির্দ্বিধায়। এখানেই থেমে থাকেননি মেদিনীপুর শহরে এবং শহর বাদে জেলা সহ ভিন্ন জেলায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই বছর পঞ্চাশের অনয় মাইতি।এবারেও।নিজের জন্মদিন পালন করলেন রক্তদান শিবিরের মধ্য দিয়ে।এই অনয় মাইতির স্ত্রী স্মৃতিকণা মাইতির এইদিন ছিল জন্মদিন।আর সেই বিশেষ দিনটি মানব সেবার মধ্য দিয়ে পালন করল এই মাইতি পরিবার।মূলত আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে এই জন্মদিন উপলক্ষ্যে এইদিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে “আশ্রয়” নামক বৃদ্ধাশ্রমে সপরিবারে উপস্থিত হন মাইতি পরিবার।তাদের হাতে ছিল নতুন বস্ত্র এবং মিষ্টির প্যাকেট।এরপর অনয় মাইতির স্ত্রী স্মৃতিকণা মাইতি একে একে করে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এই অসহায় মানুষদের হাতে নতুন কাপড় তুলে দেন। পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় স্বামী অনয় মাইতি এবং তার ছেলে ও মেয়ে।সঙ্গে ছিল অনয় মাইতির বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীও। এদিন প্রায় ৩৫ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধার হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হল। তাদের পায়ে ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন স্মৃতি কণা দেবী।
এই বিষয়ে সমাজসেবী অনয় মাইতি বলেন,”আমি আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্মদিন পালনে কিছু না কিছু মানব সেবা করে থাকি।চলতি বছরে রক্তদানের মধ্য দিয়ে নিজের জন্মদিন পালন করেছি।সেই সঙ্গে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের ট্রাই সাইকেল তুলে দিয়েছি। এইভাবে বেঁচে থাকতে চাই।আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই উচিত আনন্দ অনুষ্ঠানের সঙ্গে এই অসহায় মানুষদের জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা।সহধর্মিনী স্মৃতি কণা মাইতি বলেন এমন ভাবে জন্মদিন পালন হবে ভাবিনি কখনো।আগামী দিনেও এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে চাই।