নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
সন্দেশখালিতে আমাদের মহিলাদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচারের প্রতিবাদেও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা কে হেনস্তার প্রতিবাদে এস পি অফিস ঘেরাও অভিযান করলো জেলা বিজেপি।নেতৃত্ব দেন মহিলা মোর্চা সহ জেলা BJP নেতৃত্ব।
মূলত এই দিন হঠাৎই কর্মসূচি নেয় বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।তারা রাতারাতি এই কর্মসূচি তৈরি করে কর্মীদের জানিয়ে দেয় এবং সকাল হতেই তারা এই অভিযানে অংশ নেয়।এইদিন গাড়িতে করে করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির মহিলা ও পুরুষ কর্মীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন।যদিও এই আন্দোলনের দিলীপ ঘোষ ছিলেন না।দিলীপ ছাড়াই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে বিজেপি মুখপাত্র এবং বিজেপির জেলা সভাপতি নেতৃত্ব দেন। নেতৃত্ব দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চারা।যদিও পুলিশকে বিজেপির অভিযানের আগেই পুলিশ প্রহরা বাড়ি দেয়। রাতারাতি সদর মহকুমা শাসক থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়।এরপরই অভিযানে নামে বিজেপি নেতৃত্ব কর্মী এবং মহিলারা।মূলত অভিযানে নেমে পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে গিয়ে হাজির হন মহিলারা।
সেখানে বাধা পেলেই ঝাঁটা নিয়ে তেড়ে যান পুলিশের উপর।পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা।পুলিশ তাদের ফাইবার গার্ড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে তাদের উপরেই ঝাঁটা মারতে থাকেন ক্রমাগত।পাল্টা পুলিশকর্মীরাও হাতের ডান্ডা এবং গার্ড নিয়ে সেই ঝাঁটা আটকাতে দেখা যায় এই দিন।বেশ কিছুক্ষণ এভাবে হাতাহাতি ধস্তাধস্তি চলার পর বিজেপির লোকজন অবস্থানে বসে পড়ে।তারা প্রতিবাদ দেখাতে থাকে।স্লোগানের পাশাপাশি তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।একপ্রস্থ বিক্ষোভের পরেই এলাকা ছাড়েন বিজেপি নেতা নেত্রী ও কর্মীরা।যদিও অন্যান্য জেলার মতো এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেভাবে পুলিশের সক্রিয়তা লক্ষ্য পড়েনি।
এই বিষয়ে মহিলা মোর্চা নেত্রী পারিজাত সেনগুপ্ত বলেন এই রাজ্যের সন্দেশখালি মতো বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে একটি সম্প্রদায়ের উপর আরেকটি সম্প্রদায় হিংসা এবং অত্যাচার নামিয়ে আনছে সেক্ষেত্রে পুলিশ নির্বাক। পুলিশ ইচ্ছে করেই টাকা দিয়ে এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে।তাই পুলিশের বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।আমরা আজ মহিলারা এই বিজেপির মিছিলের সঙ্গে এসে ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছি। আগামী দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বা এই ধরনের হিংসা ঘটলে,আবার আমরা আন্দোলন দেখাবো।
বিজেপির জয়েন্ট কনভেনর লক্ষ্মীকান্ত সাউ,শংকর গুছাইত বলেন যেভাবে আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলা হয়েছে এবং ঘটনা ঘটিয়েছে তার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।সন্দেশখালীর ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে।তারা অভিযুক্ত শাহাজানকে না ধরে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে অত্যাচার করছে আর তাই আমাদের প্রতিবাদ।