নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু এবার মৃত্যু হল খোদ মেদিনীপুর শহরে যা নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। তবে এই ডেঙ্গু মৃত্যুর ঘটনায় মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দপ্তর।তাদের দাবি এই মৃত্যু হয়েছে পাশের জেলায়।পশ্চিম মেদিনীপুরে এই বালকের ডেঙ্গু ধরা পড়েনি। তাছাড়া ওর হেপাটাইটিস বি,টাইফয়েড সহ একাধিক রোগ ছিল।
ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু জেলায় তবে এবারে খোদ মেদিনীপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক বালকের মৃত্যু হল ডেঙ্গুতে।যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালো মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালমাল বস্তিতে ১২ বছর বালকের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।যদিও এই বালক গত ১৫ দিন ধরেই জন্ডিস সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন। শরীর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমেই বালককে মেদিনীপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এরপর বাড়াবাড়ি হতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে।সেখানে ভর্তি থাকার কিছুদিন পর গত ১৯ তারিখ তার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।এরপর গত একুশে আগস্ট গভীর রাতে মৃত্যু হয় এই ১২ বছর বালকের।যদিও এই ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া।তবে জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে স্বাস্থ্য দপ্তর।তাদের বক্তব্য এই বালক পূর্ব মেদিনীপুরে অর্থাৎ অন্য জেলায় ভর্তি ছিল দীর্ঘদিন।সেখানেই ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।আর যার যে মৃত্যু ঘটেছে ওই বালকের।যদিও এই নিয়ে জেলায় মৃত্যু হল দুজনের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র অনুযায়ী জেলায় ১৫ টি বিধানসভায় এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর সংখ্যা ২৫৮ জন। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা রয়েছে ঘাটালে এর সংখ্যাটা ৩৭ জন। এরপর দাঁতনে রয়েছে ২৯ জন। এরই পাশাপাশি ডেবরাতে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী। সেই তুলনায় মেদিনীপুরে সংখ্যাটা ২২ জন।তবে ঘাটালের পর এই প্রথম মেদিনীপুরে মৃত্যু ঘটলো ডেঙ্গু রোগীর।যদিও এই নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সংকর সড়ঙ্গী বলেন,”এই বালকের ডেঙ্গু ছাড়াও একাধিক রোগ ছিল। সেই রোগের কারণেও মৃত্যু হয়েছে।তাছাড়া মেদিনীপুরে যখন ও ছিল তখন ওর নেগেটিভ রিপোর্ট ছিল।পরে পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে ওর পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে ভর্তি থাকার পর।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্পিতা রায় নায়ক বলেন,”ওই বালকের মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হয়নি।ওর মৃত্যু হয়েছে পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে।এখানে যখন ছিল তখন ওর রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছিল।পরে ওই জেলায় গিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট হয়।তাছাড়া ওই বালকের হেপাটাইটিস বি,টাইফয়েড সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিল এই বালকের।