
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একদিকে চলছে টানা বৃষ্টি।অন্যদিকে এই বৃষ্টিতে ও রক্তের সংকট কমছে না মেদিনীপুর জেলার ব্লাড ব্যাংক গুলিতে।প্রতিদিনই মুমূর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে।এই অবস্থায় বিভিন্ন সংঘ সংগঠন ক্লাব রাজনৈতিক দলগুলি এগিয়ে এসেছে রক্তদান শিবির করতে।এবার নিজের ৫৩ তম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন মেদিনীপুরের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবী অনয় মাইতি।

মূলত এই অনয় মাইতি এলাকার সমাজসেবী হিসেবেই পরিচিত তবে তিনি গত পৌরসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এই ওয়ার্ড থেকে।কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান এলাকার শাসক দলের কাউন্সিলর সৌরভ বসুর কাছে।হেরে গেছেন কিন্তু মন থামেনি!সমাজ সেবা কে বেছে নিয়েছেন জীবনের মূল মন্ত্র হিসেবে।তাই প্রতিবছরই একের পর এক কর্মসূচি করে চলেন এই মানুষটি।এবারও তার ব্যতিক্রম রইল না।একে একে ৫৩ বছরের পদার্পণ করলেন তিনি।খাতা কলমে জন্মদিন কে সমাজসেবার মধ্য দিয়ে পালন করলেন এই সমাজসেবী। এদিন কর্নেল গোলায় ভগবতী স্কুলে তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে মহতি এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।যেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন পুরুষ মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৬২ জন।যদিও একজন রক্তদাতা ক্যাম্পে দিতে না পেরে শেষে মেদিনীপুর হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করে আসেন।

এরই পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের আবেদনে পরিশুদ্ধ ও পানীয় জল খুদে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের মেশিন তুলে দেওয়া হলো এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।এই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিরা।মেদিনীপুরের উপপৌর প্রধান অনিমা সাহা,কাউন্সিলর সৌরভ বসু,সুসময় মুখার্জি,মিতালী বেরা,নির্মাল্য চক্রবর্তী যেমন ছিলেন তেমনি ছিলেন জেলা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।এরই সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় রক্ত দান করা বিশিষ্ট রক্তদাতারাও।সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়েই এই শিবিরের পরিচালনা হয়। মূলত এই শিবিরের এদিন উদ্যোক্তা ছিল অনয় মাইতি ফ্রেন্ডস এন্ড লাভারস ফর লাইফ।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলেন,”মূলত এই সমাজসেবী শুধু ওয়ার্ডের না গোটা জেলার পরিচিত মুখ।তাই তার জন্মদিন কেউ স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য এই উদ্যোগ।এই রক্তদান শিবির শুধু শিবির না এক উৎসবে পরিণত হয়েছে আজ।আমরা চাই আমাদের অনয় মাইতি বেঁচে থাকুক মানুষের মধ্যে।”

যদিও এ বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবী অনয় মাইতি বলেন,” মানুষের সেবা করাই মূল উদ্দেশ্য আমার।যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন গরিব দুঃখ দুস্থ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।শুধু আমি না,বিগত দিনে আমার পরিবারের স্পেশাল দিন আমরা বেছে নিয়েছি এই সামাজিক সমাজসেবার মধ্য দিয়ে।আমি খুবই আনন্দিত যে এইভাবে আমার জন্মদিন পালন হয়েছে।”