
ভগবতী চক 14 ই ডিসেম্বর:
শালবীথি গুরুকুলের ৭০ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এইদিন আয়োজন করে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।এইদিন ২০০ ও ৪০০ মিটার রান,বস্তা দৌড়,আলু কুড়িয়ে দৌড় ও যেমন খুশি সাজো মোট ১৩ টি বিভাগে এই প্রতিযোগীরা অংশগ্ৰহণ করে। প্রতিযোগীদের উৎসাহিত দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিধায়ক সুজয় হাজরা,অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জলি সিনহা, গোদা পিয়াশাল এম জি এম বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়,সমাজসেবী অসীম বর্মন সহ বিশিষ্ট জনেরা।

মূলত শালবীথি গুরুকুল পাঁচ বছর আগে গড়ে ওঠে এই ভগবতী চক গ্ৰামে।এখানে ছাত্র ছাত্রীদের বিনে পয়সায় আঁকা,নাচ ও আবৃত্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন শহরের নামী দামি প্রশিক্ষকেরা।অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে বছর ভর বিভিন্ন ধরণের সচেতনতা শিবিরে অংশগ্ৰহণ করেন গ্ৰামের মানুষজনও।বহু অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহণ করে এই সব কচি কাঁচারা সারা বছর ধরে। যেমন রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী,স্বাধীনতা দিবস পালন,বসন্ত উৎসব, আরো বহু অনুষ্ঠান।এইসবের সাথে শালবীথি গুরুকুলের এই বারের নবতম সংযোজন হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।এইদিন চারাগাছে জল সিঞ্চন করে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জলি সিনহা, গোদাপিয়াশাল এম জি এম বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়,সমাজসেবী অসীম বর্মন সহ বিশিষ্ট জনেরা।

এইদিন ২০০ ও ৪০০ মিটার রান,বস্তা দৌড়,আলু কুড়িয়ে দৌড় ও যেমন খুশি সাজো মোট ১৩ টি বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশগ্ৰহণ করে।এইদিন মোট ৩৯ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয় বিভিন্ন বিভাগে।এছাড়াও প্রত্যেক প্রতিযোগীকে স্বান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।পুরো স্পোর্টসটি সফলতার সাথে পরিচালনা করেন শিক্ষক কৌশিক রায়। এই প্রতিযোগিতার শেষে আগত অতিথি,গ্ৰামবাসী ও সর্বপরী প্রতিযোগীদের কৃতঞ্জতা ও ধন্যবাদ জানান সংগঠনের সম্পাদিকা রীতা বেরা সহ সংগঠনের সমস্ত সদস্যবৃন্দ।

এছড়াও সংগঠনের পক্ষে এইদিন উপস্থিত ছিলেন দেবলীনা চ্যাটার্জী,মৌপালী রায়,সর্মিষ্টা চৌধুরী,সংহতি সেনগুপ্ত,অপর্ণা দাস ও রীতা বেরা।