
নিজস্ব প্রতিনিধি:
স্বামী তার স্ত্রী র মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইতে পারেন না।এমনকি স্ত্রীকে মোবাইলের পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করা গার্হস্থ্য হিংসার শামিল।এর ফলে মহিলার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়।সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় হাইকোর্ট।শুধু মোবাইলের পাসওয়ার্ডই নয়,স্ত্রী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত পাসওয়ার্ড চাইলেও তা গার্হস্থ্য হিংসা বলে বিবেচিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।

বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় এবার স্ত্রীর হয়ে রায় দিল কোর্ট।মূলত বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টে। সংবাদ সূত্রে আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ওই মামলার শুনানি চলাকালীনই গোপনীয়তা সংক্রান্ত এই মন্তব্য করেছে আদালত। বিচারপতি রাকেশমোহন পাণ্ডের পর্যবেক্ষণ,বৈবাহিক সম্পর্কে থাকলেও একে অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারেন না। হাই কোর্ট জানিয়েছে, বিয়ে করা মানেই স্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য,কথাবার্তা বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত জিনিসের উপর অধিকার মেলে না।স্ত্রীকে তাঁর মোবাইল বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করতে পারেন না স্বামী। এই ধরনের ঘটনায় গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়।এমনকি তা গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেও তা বিবেচিত হতে পারে।

আদালত আরও জানিয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা এবং পারস্পরিক স্বচ্ছতার মধ্যে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।একই সঙ্গে পরস্পরের উপর ভরসাও থাকা উচিত।এই মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি জানিয়েছিলেন স্বামী।যদিও লিখিত বয়ানে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন স্বামী।সে ক্ষেত্রে মামলার শুনানির সময় স্বামী জানান, স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ রয়েছে।এই কারণে পুলিশ যাতে স্ত্রীর মোবাইলের ‘কল ডিটেল রেকর্ড’ (সিডিআর) বার করে,সেই অনুরোধ করেন তিনি।ছত্তীসগঢ়ের এক পারিবারিক আদালতেও স্ত্রীর মোবাইলের সিডিআর-এর জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন তিনি। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী।সম্প্রতি হাই কোর্টও সেই আর্জি খারিজ করে নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রাখে।

আদালত জানিয়ে দিয়েছে,শুধুমাত্র অস্পষ্ট কোনও সন্দেহের কারণে কারও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করতে দেওয়া যায় না।