
গোপীবল্লভপুর 5 ই নভেম্বর:
গোপীবল্লভপুর তৎ সংলগ্ন গ্রামগুলিতে উৎসাহ উদ্দীপনের সাথে পালিত হল বক পঞ্চক ব্রত।আশুই গ্রাম থেকে শুরু করে ভট্টগোপাল পুর,পিড়াশিমূল গ্রামে সুবর্ণরেখা নদীর ঘাট গুলোতে ছিল মানুষের ভিড়। রীতি মেনে সবাই সূর্য উঠার আগে স্নান সেরে নদীর চরে আখ,কলা,হলুদ সহ একাধিক গাছ রোপণ করে পুজো করেন।ভাসানো হয় নদীর জলে ভেলা। সূর্য উদয়ের মুহুর্তে উদিয়মান সূর্যের উদ্যেশ্যে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়।

সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে মহা সমারোহে পালিত হল ‘বক পঞ্চক’ ব্রত। পাঁচদিন রীতি পালন এর শেষ দিন অর্থাৎ রাস পূর্ণিমার দিন ভোরে নদীর স্নান করে উদিয়মান সূর্যের প্রতি অর্ঘ্য প্রদান করলেন অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ।এদিন ভোর থেকে গোপীবল্লভ পুরের আশুই থেকে শুরু করে ভট্টগোপাল পুর,পিড়া শিমূল গ্রামে সুবর্ণরেখা নদীর ঘাট গুলোতে ছিল মানুষের ভিড়। রীতি মেনে সবাই সূর্য উঠার আগে স্নান সেরে নদীর চরে আখ,কলা,হলুদ সহ একাধিক গাছ রোপণ করে পুজো করেন।ভাসানো হয় নদীর জলে ভেলা। সূর্য উদয়ের মুহুর্তে উদিয়মান সূর্যের উদ্যেশ্যে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথি থেকে রাস পূর্ণিমা পর্যন্ত এই ব্রত পালন করেন আশুই সহ সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় ভাবে একে পঞ্চক ব্রত বলা হয়ে থাকে। কোথাও কোথাও ‘বক পঞ্চক’ ব্রত বলা হয়। পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত এটি। মহাভারতের ভীষ্ম এই ব্রত পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবি সনাতন দাস বলেন,”আজকের বিশেষ দিনে ভূতপূর্ব মানুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করে এই অনুষ্ঠানে আমরা হাজির হয়েছি। আমরা সূর্যোদয়ের আগেই নৌকো ভাসিয়ে সবার মঙ্গল কামনা করলাম।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়।