
মেদিনীপুর 11 ই সেপ্টেম্বর:
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে অনুষ্ঠিত হল বাল্যবিবাহ রোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক এক বিশেষ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।সেই সঙ্গে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের শারীরিক ও মানসিক কুফল গুলি তুলে ধরা হয়।একই সঙ্গে, গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার উপায় আলোচনা করেন বিধায়কসহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে অনুষ্ঠিত হল বাল্যবিবাহ রোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক এক বিশেষ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।এইদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এদিনের অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে এক সামাজিক উদ্যোগের সাক্ষী।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি,জেলা শাসক,খড়গপুর গ্রামীণ,দাসপুর, কেশিয়াড়ি ও ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা।সেই সঙ্গে ছিলেন এম.কে.ডি.এ.-র চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত), পি.ডি.-ডি.আর.ডি.সি, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমা শাসক (মেদিনীপুর সদর) সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

এই আলোচনায় উঠে আসে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মেধাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার ও আনন্দধারার মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি কীভাবে কন্যা শিশুদের শিক্ষায় উৎসাহিত করছে ও বাল্যবিবাহ রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এইদিন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের শারীরিক ও মানসিক কুফল গুলি তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে, গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।পাশাপাশি সমাজের নানা বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো কয়েকজন মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

এছাড়াও, বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (গার্লস)-এর ছাত্রীদের পরিবেশিত নাটক বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়।