
দিল্লি 3 রা সেপ্টেম্বর:
পোষ্য কার দখলে থাকবে,তা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং তাঁর প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের মামলা আগেই আদালতে গড়িয়েছিল।সেই সূত্রেই দিল্লি হাই কোর্টে জয়ের দায়ের করা একটি মামলার শুনানি ছিল বুধবার। গোটা ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি মনোজ জৈন মন্তব্য করেছেন, ‘‘কোর্টের বাইরে বসে আপনারা এই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারছেন না?’’ যদিও এই ঘটনায় মহুয়ার জবাবও তলব করেছে হাই কোর্ট।

পোষ্যের দাবিদার কে?যা নিয়ে মামলা গড়াল কোর্ট পর্যন্ত।ঘটনার সূত্রপাত,মহুয়া এবং জয়ের পোষ্যের নাম হেনরি(রটহুইলার)।এই হেনরি কে নিয়ে ২০২৩ সালে মহুয়া এবং জয় একে অন্যের বিরুদ্ধে চুরি করার অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও দু’জনের দাবি,হেনরির অধিকার তাঁদের।মহুয়ার বান্ধব জয় এ-ও দাবি করেন, ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে তিনি হেনরিকে কিনেছেন সেই সঙ্গে হেনরিকে তিনি ৪০ দিন বয়স থেকে আগলে রেখেছিলেন।তাই হেনরির ওপর তাঁরই একমাত্র অধিকার।যদিও পাল্টা মহুয়া হেনরিকে ভাগাভাগি করে রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন আদালতে।
পোষ্য কার যা নিয়ে মহুয়া-জয়ের মামলায় গত মার্চে নিম্ন আদালত নির্দেশ দেয়,এই বিষয় নিয়ে কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবে না।

নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী জয়।তাঁর আইন জীবী বুধবার আদালতে বলেন, নিম্ন আদালত মুখবন্ধ রাখার যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।প্রসঙ্গত, জয়ের সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব ঘোচার অন্যতম কারণ ছিল হেনরিকে নিয়ে বিবাদ। আবার এই জয়ই মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন, যে তৃণমূল সাংসদ ঘুষ, উপহারের বিনিময়ে সংসদে নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানিকে জড়িয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সেই সূত্রেই গত লোকসভার একেবারে শেষ দিকে মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করেছিল এথিক্স কমিটি।