
নিজস্ব প্রতিনিধি,পলাশী:
তারা খুদে,কচিকাঁচা কিন্তু বড়দের মতোই আবির তৈরিতে পটু এবং দক্ষ।তাই গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের বিদ্যালয়ে শাকসবজি ফলমূল দিয়েই আবির তৈরি করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকেরা।আর যে হাতে-কলমে পাঠ পেয়ে শিক্ষার ভিতকে মজবুত করছে এই পড়ুয়ারা।সেরকমই চিত্র এদিন দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের সদরের অন্তর্গত পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

হাতে মাত্র আর একটা দিন এরপরেই বসন্ত উৎসব সেইসঙ্গে হোলিতে মেতে উঠবে আপামর ভারতবাসী। এখন চলছে সেই আবির কেনাবেচা এবং তৈরির কাজ।বাজারে ভর্তি রাসায়নিকে পরিপূর্ণ এই আবির। তাই প্রাকৃতিক ভেষজ আবীর তৈরিতে পড়ুয়াদের পাঠ মেদিনীপুর সদরের পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।বিট গাজর,অপরাজিতা ফুল,পেঁপের বীজ সেই সঙ্গে বিভিন্ন শাকসবজি সহকারে আবির তৈরিতে ব্যস্ত এই স্কুলের বুনিয়াদি স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা।কেউ হলুদ বেটে তৈরি করছে তোকেও বিট ছাড়িয়ে।কেউবা আবার এরারুট মিশিয়ে তৈরি করে ফেলছেন সেই ভেষজ আবীর। লাল,নীল,সবুজ,হলুদ,বেগুনি আবিরে গন্ধে মম এই প্রাথমিক স্কুলে।ছোট থেকে বড় সকলেই আবির তৈরিতে হাত লাগিয়েছে।আর তাদের এই পাঠ দিয়ে আসছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।এরকমই পাঠ দিয়ে আসছে গত কয়েক বছর ধরে এই পলাশী বিদ্যালয়ের স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র।

তাই হোলি আসার আগেই সেই আবির তৈরীর কর্মশালা সেইসঙ্গে এক প্রস্থ আবির খেলায় মেতে উঠল এই স্কুলের কচিকাঁচারা।পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষক শিক্ষিকা গোপীনাথ বাস্কে ও মামনি বেসরা, সহশিক্ষক কৌশিক কুমার লোধ ও অসীম কুমার মন্ডল।

এই বিষয়ে স্কুলের পড়ুয়া দেবস্মিতা কারক বলে,”প্রতিবছরের মত এ বছরও আমরা ভেষজ আবীর তৈরি করলাম।বিভিন্ন ফল ফুল পাতা সবজি সহযোগে সেই আবির তৈরি করা শিখিয়েছে স্কুলের শিক্ষকেরা। এই আবির নিয়েই আমরা বসন্ত উৎসবে মেতে উঠবো।অন্যদিকে আরেক পড়ুয়া অভিজিৎ মন্ডল বলে,”বাজারের আবিরে প্রচুর কেমিক্যাল রয়েছে। সেই আবির মাখলে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে
তাই আমাদের স্কুলের শিক্ষকেরা হাতে কলমে আমাদের এই প্রাকৃতিক উপায়ে ভেষজ আবীর তৈরিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে।আমরা বিভিন্ন ফল ফুল পাতা কেটে বেটে নিংড়ে এই আবির বানিয়েছি।

এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান।শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র বলেন,”হাতে কলমে শিক্ষা, শিক্ষার ভিতকে মজবুত করে”সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। গত কয়েক বছর ধরেই সেই কাজ আমরা করে চলেছি।আমরা বাজারের রাসায়নিক আবির নিয়ে রং খেলতে দিই না এই ছোট ছোট পড়ুয়াদের।তাই আমরা প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপায় আবির বানিয়ে তাদের হোলি উৎসব মানাতে দিয়েছি।

বিভিন্ন গাছের ফল ফুল এবং এরারুট সহযোগে এই আবির বানিয়েছে নিজেরাই তারা।