নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম :
জঙ্গলমহলের হস্তশিল্পের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ঝাড়গ্রামে দু’দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হল জেলা ভিত্তিক হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী । সোমবার প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী।উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরবালা,ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষরা।
মূলত ঝাড়গ্রাম শহরের ট্রেজারি বিল্ডিং এর দোতালায় এই প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত।জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিটা জেলাতেই দু’দিনের এই জেলাভিত্তিক হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা বেলপাহাড়ি এলাকায় এখনো পাথর শিল্পীদের বসবাস রয়েছে।তারা পাথর কেটে পাথরে থালা,বাটি,প্রদীপ তৈরির পাশাপাশি নানা দেব দেবীরও মূর্তি তৈরি করেন।সেইগুলি স্থান পেয়েছে এই প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে।সাবাই ঘাস, বাবুই ঘাস,খেজুর পাতা ও পাটের তৈরি হস্তশিল্পীদের ঘর সাজানোর জিনিস,ফুলদানি,ব্যাগ সহ বিভিন্ন সামগ্রী স্থান পেয়েছে এই প্রতিযোগিতায়ও প্রদর্শনীতে।এছাড়াও বাঁশ , গাছের শেকড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি শিল্পীদের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি,পশুপাখির মূর্তি সহ বিচিত্র কলা কৌশলী স্থান পেয়েছে এই প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে।
ঝাড়গ্রাম জেলা শিল্প কেন্দ্র জেনারেল ম্যানেজার তারাপদ সুই বলেন,”ঝাড়গ্রাম জেলার সম্পদের উপর নির্ভর করে যে সমস্ত হস্তশিল্পের কাজ এখানে হয় তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।মূলত তিনটি বিভাগে হস্ত শিল্পীদের কাজকর্মকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম বিভাগে রয়েছে পাথর শিল্পের কাজ।দ্বিতীয় বিভাগে রয়েছে সাবাই ঘাস,বাবুই ঘাসও খেজুর পাতার কাজ।আর শেষে তৃতীয় বিভাগে রয়েছে বাঁশ ও কাঠের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প।এছাড়াও আরেকটি বিভাগ রয়েছে যেখানে সুতো দিয়ে ছবি আঁকা,কাপড়ের কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ স্থান পেয়েছে।বিচারক মন্ডলীর দ্বারা এই প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় হবে তাদের হস্তশিল্প গুলি রাজ্যস্তরেও প্রতিযোগিতায়ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে”।তিনি আরও জানিয়েছেন,”এই প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ১০৭ জন হস্তশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন”।
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা জঙ্গলমহলের কথা ভেবে চলেছেন।এই প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে জেলার হস্তশিল্পীদের গুরুত্ব আরো বাড়বে এবং তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু তৈরি করে ঝাড়গ্রাম জেলাকে সকলের কাছে তুলে ধরবে।এই ধরনের প্রতিযোগিতার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে”।