নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম :
কালী রুপেও পূজিত হন চিল্কীগড়ের দেবী কর্ণক দূর্গা।কালীকে নিবেদন করা হয় হাঁসের ডিমের গঞ্জ ভোগ। নিশিরাতে দেওয়া হয় কালো পাঠার বলি।এদিন রবিবার সকালে মন্দিরে দেবীকে দেবী কর্ণক দুর্গা রূপেই পুজো করা হয়েছে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পর কালীপুজো শুরু হতেই দেবীকে কালী রূপে পূজা করা হচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী জানা যায় প্রতি কালী পূজোতেই দেবীকে কালী রূপে পূজা করা হয় এইখানে।দেবী কর্ণক দুর্গাকে দুর্গা পুজোর সময় দেবী দুর্গার রূপে পূজা করা হয়।সপ্তম থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত দুর্গা পুজোর রীতিনীতি অনুযায়ী পূজা করা হয়।পুজোর ওই চারটা দিন উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়।নবমীর দিন বলির প্রথা রয়েছে চিল্কীগড়ের।ষোড়শ প্রচারে তন্ত্র মতে দেবী কর্ণক দুর্গাকে মা কালী রূপে পূজা করা হচ্ছে।মা কে নিবেদন করা হবে খিচুড়ি,হাঁসের ডিম, মাছের ঝোল, পাঁচ রকমের ভাজা,সবজি, চাটনি ও পায়েস।প্রথমে চিল্কীগড়ের রাজ পরিবারের পুজো হয়।তারপরে কালী পুজো দিতে পারেন সাধারণ মানুষজন সকলেই।
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মানচিত্রের ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের ডুলুং নদীর তীরে অবস্থিত চিল্কীগড়ের কর্ণক দূর্গা মন্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থল।বছরের প্রতিটা দিনেই দূর দূরান্তের বহু পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না দেবী কর্ণক দুর্গা কে কালী রুপেও পুজো করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত গৌতম সড়ঙ্গী বলেন,”সকালে দেবীকে নিত্য দিনের মতো দেবী কর্ণক দুর্গার রূপে পূজা করা হয়েছে।আর এখন মা কালী রূপে পূজা করা হচ্ছে।ষোড়শ প্রচারে এই পুজো হয়।মাকে হাঁসের ডিম, মাছের ঝোল,পাঁচ রকমের ভাজা ,সবজি,পায়েস নিবেদন করা হয়। নিশি রাতে পাঠা বলিও দেওয়া হয়।রাজবাড়ীর পুজো শেষ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় উপচে পড়বে মন্দির প্রাঙ্গণে”।