নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। সদ্য যৌবনের আঙিনায় পা রাখা এক নাবালিকা।তার অপরিণত মনস্কতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রঙিন দুনিয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে একাধিকবার সহবাস করে এক যুবক।নাবালিকা যে প্রতারণার শিকার তা স্বপ্নেও ভাবেনি।যখন নাবালিকা বুঝতে পারল,তখন সে গর্ভবতী।বুধবার দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাজু ভুঁইয়াকে সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত।
ঘটনা চক্রে জানা যায় অভিযুক্তর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানা এলাকায়।এদিন এই অভিযুক্ত যুবক রাজুকে ২২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।মূলত ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর মামলাটি রুজু হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানায়।নাবালিকার বাবা যুবক রাজু ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে নাবালিকার বাবা জানিয়ে ছিলেন,‘আমার মেয়ের সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে সম্পর্ক রাজু ভুঁইয়ার।আমার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সে সহবাস করে।এই ঘটনার পর বর্তমানে মেয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।তারপর বিষয়টি আমরা জানতে পারি।’অভিযোগ হওয়ার পর মামলার তদন্ত দেওয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর সুব্রত সামন্তকে।তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযোগ হওয়ার পাঁচ দিন পর ৩০ অক্টোবর রাজু ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে।তারপর থেকেই ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে রাজু। এরপর আদালতে মামলার চার্জশিট জমা করে তদন্তকারী অফিসাররা।
এই ঘটনায় প্রতিবেশি,চিকিৎসক,পুলিশ সহ মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।সরকারি কৌঁসুলি জয়ন্ত রায় বলেন,‘পকসো আইনের ৬ ধারায় বুধবার বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় রাজু ভুঁইয়াকে ২২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।পাশাপাশি নাবালিকাকে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’