
নিজস্ব প্রতিনিধি:
এবার নতুন নির্দেশিকা নবান্নের।সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া ৩০ দিনের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও ৩০ দিনের মধ্যেই করে নিতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি দফতরকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠাল নবান্ন। যা নিয়ে স্বস্তিতে চাকরি প্রার্থীরা।

এতদিন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা চলত।চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন চাকরি প্রার্থীরা।কারণ চাকরির সবকিছু কাগজপত্র ঠিক থাকলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দিতে পারতেন না চাকরি প্রার্থীরা। ফলে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে যথেষ্ট কাজ কাঠ খড় পোড়াতে হত এই বেকার যুবক-যুবতীদের। এবার সেক্ষেত্রে উদ্যোগী হল নবান্ন।রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ প্রতিটি দফতরের সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন,পুলিশি যাচাই বা মেডিক্যাল রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য যদি কোনও ক্ষেত্রে সশরীরে উপস্থিত থেকে যাচাই করার প্রয়োজন হয়, তা-ও ৩০ দিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।দফতরগুলিকে নবান্ন জানিয়েছে, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশন’ (ডাব্লিউবিপিএসসি) বা সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষ থেকে সুপারিশপত্র আসার পরে সঙ্গে সঙ্গে তা চাকরিপ্রার্থীদের জানাতে হবে।

ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং ইমেল মারফত চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে।পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া, মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ পরবর্তী কী কী পদক্ষেপ রয়েছে, তা-ও জানাতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের।বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া এবং মেডিক্যাল রিপোর্টের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এগুলি হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের নির্দিষ্ট ‘ট্রেনিং অ্যাকাডেমি’ বা দফতরে কাজের প্রশিক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিতে হবে। মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, এই সময়সীমার মধ্যে কাজ করতে না পারলে প্রথমে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে সতর্ক করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অকারণে বার বার একই রকম দেরি হতে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এর ফলে এবার স্বস্তির ছায়া বেকার যুবকদের মধ্যে।