Mamata Banerjee:’জল 1 ঘন্টায় গলা পর্যন্ত নিয়ে যায়,যে অপেক্ষা করবে সে ডুববে’!বন্যার জল নিয়ে সচেতনতার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,পাঁশবুড়া:

বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটাল পাঁশকুড়া ডেবরা এলাকা দেখতে তড়িঘড়ি ছুটে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল ঘাটাল বন্যা পরিদর্শন করেন এরপর যাওয়ার পথে ডেবরা এবং পাঁশকুড়ায় উপস্থিত হন।তবে বন্যা বিধ্বস্ত পাঁশকুড়ার পরিস্থিতি দেখে DVC-র উপর ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জল নিয়ে বার্তা মমতার

তিনি মন্তব্য করতে গিয়ে DVC-র সঙ্গে ‘সব সম্পর্ক’ ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মেদিনীপুরের অবস্থা দেখে আমি শঙ্কিত।পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল,কেশপুর,ডেবরা আর পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া,হুগলির আরামবাগ,হাওড়ার আমতা সহ এই বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গিয়েছে ডিভিসি-র ছাড়া জলে।ঝাড়খন্ডকে রক্ষা করতে, সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডোবানো হয়েছে।গতকাল রাতেও জল ছাড়া হয়েছে।সেজন্যই পাঁশকুড়ার অবস্থা আজ সকাল থেকে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।সব মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল।গালুডি, পাঞ্চেত থেকে আরও দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ছে। মোট সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে।এত জল কখনও ছাড়া হয়নি।ভবিষ্যতে আমরা DVC-র সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখব কিনা ভাবতে হবে।আমরা সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেব ভাবছি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,দুই মেদিনীপুরের মধ্যে ঘাটাল ও পাঁশকুড়ার অবস্থাই এবার সবথেকে ভয়াবহ। তবে, ডেবরা ও কেশপুর (কলাগ্রাম, হাজীচক, চক মনসুর, জগন্নাথপুর, আকমুড়া) ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। খড়্গপুর ২নং ব্লকের একটি গ্রামও জলমগ্ন।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বন্যা দুর্গত।তার মধ্যে শুধু ঘাটালেই দুর্গত মানুষের সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ।পাশাপাশি ১৫০০টি মাটির বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আরও ৩০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।তবে সব মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১২২টি গ্রাম ও ওয়ার্ড বন্যা কবলিত বলেও জানা যায়।গত তিন দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর,নারায়ণগড় ও খড়গপুর গ্রামীণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কারণে।কেশপুরের জগন্নাথপুরে বছর দশেকের নাবালক সেখ গিয়াসউদ্দিন বন্যা দেখতে গিয়ে তলিয়ে যায়।নারায়ণ গড়ের রথিপুরে যমুনা হ্যান্ডেল নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে দেওয়াল চাপা পড়ে।খড়্গপুর গ্রামীণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে পুকুরে পড়ে।

উল্লেখ্য,এইদিন বেলা করে সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।তিনি সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে ধর্মা, হোসনাবাদ, মোহনপুর, চৌরঙ্গী, ডেবরা হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় রওনা দেয় পাঁশকুড়ার উদ্দেশ্যে।এর মধ্যে ৬০নং জাতীয় সড়কের হোসনাবাদ এবং ৬নং জাতীয় সড়কের উপর ডেবরাতে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন মেদিনীপুর,খড়্গপুর, ডেবরা সহ মেদিনীপুর জেলার অসংখ্যা নেতাকর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে কেবল হাত নেড়েই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় জাতীয় সড়ক ধরে সোজা রওনা দেয় পাঁশকুড়ার উদ্দেশ্যে।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in