Manas Bhunia:একটি স্ট্রে ইন্সিডেন্ট অথচ অ্যান্টি গভর্নমেন্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে!কন্যাশ্রী অনুষ্ঠানে এসে মন্তব্য ক্যাবিনেট মন্ত্রী মানসের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

আরজি করের ঘটনায় এবার রাজ্যেরই হয়ে মত প্রকাশ করলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা রাজ্যের জলসেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।তিনি বললেন আন্দোলনের নামে এবার আমরা সিপিএম,বিজেপির গন্ধ পাচ্ছি এরই সঙ্গে আমরা আন্টি গভর্নমেন্ট গড়ে তোলারও একটা গন্ধ পাচ্ছি এই আন্দোলনের নামে। আন্দোলনকারীদের হয়ে তিনি বলেন আর কি আন্দোলন করার দরকার আছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী

বুধবার ছিল কন্যাশ্রী দিবস।আর এই কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে গোটা রাজ্য জুড়ে সরকারি অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছিল এই রাজ্য সরকার।পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের শহীদ পরিকল্পনা ভবনে ও এক অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এদিন দুপুরবেলায়।আর সেই অনুষ্ঠানে অন্যান্য মন্ত্রীদের পাশাপাশি এসেছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা জল ও সেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় আরজিকর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মানস ভূঁইয়া একটু বিচলিত হন এবং একটু রেগেও যান।তিনি বলেন গোটা রাজ্যের একটি স্ট্রে ইন্সিডেন্ট অথচ সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি দোষীকে এরেস্ট করিয়েছেন তদন্ত হচ্ছে এরই সঙ্গে তিনি না পারলে সিবিআই তদন্তের সম্মতি জানিয়েছেন।এর থেকে বেশি আর কি হতে পারে।এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন অভিযোগ কারীরা যে ধরনেরই তদন্ত চায় সেই ধরনেরই তদন্ত করা হবে।এরপর তিনি আন্দোলন নিয়ে কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন এরপরেও কি আর কোন তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার দরকার আছে।এরই পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন এই তীব্র আন্দোলনের গড়ে তোলার পেছনে একটা পলিটিক্যালি মোটিভেশনের গন্ধ আমরা পাচ্ছি।

যে গন্ধ রয়েছে সিপিএম,বিজেপি সহ অ্যান্টি গভমেন্ট গড়ে তোলার।সেই সঙ্গে তিনি বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অকেজো করে দেওয়া বা অকেজো করে রাখারও অভিসন্ধি আমরা খুঁজে পাচ্ছি।এরপর তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন প্রতিদিন এই সরকারি হাসপাতাল গুলিতে এক লক্ষ বা তার বেশি রোগী আসে চিকিৎসা করাতে কিন্তু সেই সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বলেন আমি যদি দেখতাম যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এত বড় ঘটনার পর কোন কাজ করেনি,চুপ করে বসে থাকতেন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতেন না তাহলে এই আন্দোলন হয়তো করা যেত কিন্তু তারপরেও রাত দখল করো, মিছিল করো মোমবাতি জ্বালো এটা খুব একটা করা কি ঠিক হচ্ছে!যদিও এই গণতান্ত্রিক দেশে সব আন্দোলনই করা যেতে পারেও বলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।তবে আমি আন্দোলন কারীদের কাছে হাত জড়ো করে অনুরোধ করব এই আন্দোলন করার আর কি কোন দরকার আছে বলে মনে হয় আপনাদের!পাশাপাশি তার আবেদন এরপর হাসপাতালগুলো শান্ত হোক,চিকিৎসা শুরু হোক পড়াশোনা স্টার্ট হোক আমাদের দাবির জায়গায় দাবি অবশ্যই থাকবে।

যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।যদি ওই দিন হাইকোর্টের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন হাইকোর্ট আগেই রায় দিয়েছে সিবিআই তদন্তের।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়েও তিনি বলেছেন হাই কমান্ড কিন্তু এই হিলিরিয়াস কান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আগেই দাবি জানিয়েছেন।এরপর কন্যাশ্রী দিবস নিয়ে তিনি বলতে গিয়ে বলেন এর সঙ্গে কন্যাশ্রী দিবস কোনভাবে কলঙ্কিত করা যাবে না।কারণ আমরা নোবেল কমিটির কাছে দাবি করব এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে নোবেল দেওয়ার।তবে এর সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির জন সমর্থন নিয়ে তিনি বলেন এই ১৩ বছর ধরে অনেকেই এই ধরনের আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছেন।আন্দোলন করেছেন কিন্তু তারপরও মমতা ব্যানার্জির মাথা থেকে জন সমর্থন কিছুতেই সরিয়ে নিতে পারেনি।মানুষের অগাধ বিশ্বাস আস্থা ও জনসমর্থন রয়েছে এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মাথায়।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in