নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
পৌরসভার চেয়ারম্যান করছেন বিমাতৃ সুলভ আচরণ,দিচ্ছেন না ফান্ডের ভাগ, করছেন স্বৈরাচারী মনোভাব এই প্রতিবাদে এবার পৌর চেয়ারম্যানের পরিবর্তনের দাবি দলীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগের দাবিতে অবস্থানে অনড় ১১ তৃণমূল কাউন্সিলর। যদিও বিষয়টি নিয়ে মমতা এবং অভিষেককে জানানো হবে বলে জানালেন সেই কাউন্সিলররা। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জানালেন জেলা সভাপতি কে বিষয়টি জানিয়েছি যদি দল আমাকে পদ ছেড়ে দিতে বলে তবে আমি ছেড়ে দেবো।
এবার খোদ দলীয় পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাস্তায় বসলেন ক্ষুব্ধ শাসক দলের কাউন্সিলররা আর তা ঘিরে চাঞ্চল্য মেদিনীপুর পৌরসভাতে। প্রসঙ্গক্রমে জানা যায় মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল কুড়িটি ওয়ার্ডে জিতে এবারের ক্ষমতা দখল করেছে। সে ক্ষেত্রে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন বিগত দিনে কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর সৌমেন খান। তবে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন এই সৌমেন বাবু। অভিযোগ সৌমেন বাবু চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই দেড় বছর ধরে তিনি খোদ দলীয় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছেন। শুধু খারাপ আচরণ করছেন তা নয় বিভিন্ন বোর্ড মিটিংয়েই ডাকছেন না আর দলীয় কাউন্সিলরদের। এরই সঙ্গে তিনি বোর্ড মিটিং এ কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় কয়েকজন কাউন্সিলর কে নিয়েই মিটিং সেরে ফেলছেন।এছাড়া বিভিন্ন ফান্ডের টাকার হিসেব দিচ্ছেন না।
সেই ফান্ডের টাকা নিয়ে তিনি মুষ্টিমেয় কয়েকজন দালালকে নিয়ে মোচ্ছব করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি স্বৈরাচারীদের মত। এক ছত্র রাজত্ব করতে গিয়ে তিনি ফান্ডের টাকা ও ভাগ করছেন না তার কাউন্সিলরের কাছে। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ দলীয় ১১ কাউন্সিলর বসলেন পৌরসভার দোতালায় অবস্থানে। তাদের অভিযোগ অবিলম্বে এই পৌর চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।না হলে তারা এই অবস্থান থেকে উঠবেন না। এই অবস্থানে নেতৃত্ব দেন শহর-সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব যিনি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর সঙ্গে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌ রায়,ছিলেন ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী হাজরা,আট নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী,ছিলেন গোলক মাঝি,লিপি বিষয়,মোজাম্মেল হোসেন,সত্য পড়িয়া,নম্রতা চৌধুরী।
এ বিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান অথচ আমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ। এছাড়া তিনি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখান কোন ফান্ডের সঠিক হিসেবও দেন না টাকাও দেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই চেয়ারম্যানের অপসারণের বিরুদ্ধেই পথে বসেছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে দলকেও জানিয়েছি। অন্যদিকে কাউন্সিলার মৌ রায়,মৌসুমী হাজরা বলেন বহুবার এই নিয়ে সমস্যা হয়েছে এবং উনাকে সময় দেওয়া হয়েছে।তারপরও উনি শুধরে যাননি। আমাদের তো না জানিয়ে তিনি একছত্র সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। মিটিং এ আমাদের ডাকা হয় না,আমাদের কোনো প্রজেক্ট এর টাকা দেওয়া হয় না। আমরা এই দলীয় চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
যদিও এদিন অভিযোগ মেনে নিয়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান।তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।দলীয় নেতৃত্ব কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।যদি দল বলে আমায় পদ ছেড়ে দিতে আমি অবশ্যই পথ ছেড়ে দেবো।