নিজস্ব প্রতিনিধি,বেলদা:
কলকাতার পর এবার ইডির নজর জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে।এদিন বেলা বাড়তেই এক দল ইডি অফিসার পৌঁছলেন বেলদা থানার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুরে চাল ব্যবসায়ী স্বদেশ কান্তি বেরার বাড়িতে। কেন্দ্র বাহিনী জওয়ান দিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।তবে বাড়ির আত্মীয়র বক্তব্য বিষয়টা জানিনা।
একদিকে আরজি কর নিয়ে উত্তাল যখন গোটা রাজ্য তখন ই ডি একের পর এক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও আরজি করে ঘটনার সঙ্গে সিবিআই ইনভেস্টিগেশন করছে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তি নিয়েও। আর সেই সব নিয়ে এক ও একাধিক নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে প্রতিদিন।ইতিমধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিন হয়েছে।আর ঠিক তার পরের দিনই,রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকাল থেকে বড়সড় অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটর আধিকারিকরা।মূলত এইদিন গোপন তথ্য অনুযায়ী রেশন দুর্নীতি মামলায় কলকাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ৭ জায়গায় তল্লাশি চালায় একসঙ্গে শুরু করেছে কলকাতা, মেদিনীপুর ছাড়াও কল্যাণী, জয়নগর ৭ জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে জানা গেছে।রাজ্যের কল্যাণীতে এক ফুড ইনস্পেক্টরের বাড়িতে চলছে তল্লাশি পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুরের চাল ব্যবসায়ী স্বদেশ কান্তি বেরার বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।সূত্র অনুযায়ী এই তল্লাশিতে ইডি’র ৭-৮ জন অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সহ এই দলে ১৫ জন আছে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়েই এই অভিযান। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে করে ED-র তদন্তকারী দল এসে পৌঁছয় বেলদাতে।এখনও পর্যন্ত ইডি’র আধিকারিকেরা ওই বাড়ির ভেতরেই রয়েছেন। তাঁরা কথা বলছেন বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে।এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
যদিও এই নিয়ে স্বদেশ কান্ত বেরার মামা সীতানাথ প্রধান জানান “দু’টি গাড়িতে করে ইডি’র অফিসাররা এসেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও আছে। এখানে এসে উনার আমাকে জিজ্ঞাসা করেন স্বদেশের কথা। এরপর স্বদেশ বাড়ি ঢুকে এবং তারপর থেকেই দেখছি জেরা চলছে।তবে,রেশন সংক্রান্ত তদন্ত বলে জানিয়েছেন ওনারা। ও আমার ভাগ্না হয়। আমার ভাগ্না আগে হাস্কিং চালের ব্যবসা ছিল।চাল কিনে বর্ধমানে পাঠাত। কিন্তু গত লকডাউনের পর থেকে ব্যবসা আর নেই বলেই জানি। আর কি ব্যাপার আছে, তা অবশ্য বলতে পারব না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,একসঙ্গে ৭ জায়গায় ED র তল্লাশি, নিঃসন্দেহে নতুন করে সন্দেহের দানা বেঁধেছে রাজ্যজুড়ে।তবে এই দিন প্রায় পাঁচ ঘন্টা ইডির আধিকারীরা স্বদেশ বেরার সঙ্গে কথা বলেন। এই তল্লাশির পর কেউই মুখ খুলতে রাজি হয় নি।