নিজস্ব প্রতিনিধি,দাসপুর:
হাসপাতালে ঢুকে ওপেন থ্রেট,রেপ খুন করার হুমকি এমন আরজি কর আগে দেখিনি,তাই না বলেই পালিয়ে এসেছি।দাসপুরের বৈকুণ্ঠপুরে নিজের বাড়িতে এসে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিলেন নার্সিং পড়ুয়া।
আরজি কর কাণ্ডে রীতিমতো দাগ ফেলেছে গোটা দেশ জুড়ে।প্রতিদিনই এর প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন নতুন নতুন সংঘ,সংগঠন,সমিতির মানুষজন।ইতিমধ্যে রাত জাগো নিয়ে বড় কর্মসূচি করেছে বাংলার মহিলারা।যদিও সেই ঘটনায় এবং সেই ঘটনার “রাত জাগোর” ঘটনার দিনে আরজি করে এক প্রস্থ ভাঙচুর চালিয়েছে বেশ কিছু বাইরের মানুষজন। যা নিয়ে উত্তপ্ত রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।তবে এই ঘটনায় এবার দাসপুরে নিজের বাড়িতে পালিয়ে এলেন নার্সিং ইন্টার্নশিপ এর ছাত্রী।এদিন বাড়িতে পালিয়ে এসে সে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেয়।মূলত এই ছাত্রীর নাম পল্লবী সিং। দাসপুরের বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা। যদিও আরজি করের ঘটনার একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশ করে ক্যামেরার সামনে।এদিন পল্লবী বলে সে আর জি কর হাসপাতালের নার্সিং স্টুডেন্ট,ইন্টার্নশিপ করছে।এটা তার প্রথম বছর।কিন্তু আরজি করে যে একটা ঘটনা ঘটেছে তারপরে যে ধরনের ঘটনায় ঘটে চলছে তাতে সেই ইনসিকিউর ফিল করছে। মনে হচ্ছে না এখানে সে সেফটি রয়েছে।যেভাবে বাইরের লোক ঢুকে রীতিমত ভয় রেপ করার দেখাচ্ছে এবং তার জন্য সেফটি ফিল করছে না।তাছাড়া তাদের কোনো সেফটি মেজর দেওয়া হয় নি।
যার জন্য ভয়েই চলে আসতে হয়েছে।যদিও আগের ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে গিয়েছে বলে এর আগে ও রোগী মৃত্যু নিয়ে পেসেন্ট পার্টি অনেক ঝামেলা গন্ডগোল করেছে কিন্তু সেগুলো অন্য ব্যাপার।বর্তমানে যেটা চলছে সেটা অত্যন্ত ভয়ংকর। আগের রাতের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁপে উঠে পল্লবী।সে বলে প্রায় তিন হাজার লোকের একটা মব ঢুকে যায় ব্যারিকেড ভেঙ্গে। পাশাপাশি পুলিশ এর ভূমিকা নিয়ে বলে পুলিশ অন্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার আগে নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ওরা পেসেন্ট পার্টির চাদর নিয়ে লুকিয়ে ছিল সেই ঘটনায়।যদিও সকালে ওই পুলিশ পেসেন্ট পার্টিকে ৫০০ টাকা দিয়ে গেছে রাত্রে চাদর দিয়ে বাঁচানোর জন্য। আমি আমার সহ পাঠীরা কোনরকমে বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম কিন্তু সেখানেও দরজায় হামলা করা হয় এবং ওপেন থ্রেট দেওয়া হয় খুন এবং রেপের। তবে এর সঙ্গে পল্লবীর দাবি যারা আন্দোলন করতে এসেছিল তারা এভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারে না,এরা অন্য কেউ।