নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :
কিছুটা জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুর ১৫ টি বিধানসভার নিয়ে শহরকেন্দ্রিক এই মেদিনীপুর শহরের অবস্থা এখন তারের জটে আবদ্ধ। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই তার আর তার।কেবল তার,ইলেকট্রিক তার ও টেলিফোনের তার সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেওয়ার তার নিয়ে গেছে কোন সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই যে যেমন পেরেছে যেখানে পেরেছে তারের বান্ডিল বেঁধে রেখেছে।ফলে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি প্রায় সময় আতঙ্ক রয়েছে এই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের কারণ এই কেবল তার বেশিরভাগটাই নজরদারির অভাবে উপর থেকে নিচে নেমে এসেছে ফলে চলাচলকারী যানবাহন গুলির টানে কখন যে ছিঁড়ে পড়বে কার ঘাড়ে সেটাই প্রশ্নের। যদিও এই তারের জটে ইতিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটেছে আসানসোল দুর্গাপুর মালদা সহ খাস কলকাতাতে।তাতে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে বহু মানুষের। কিন্তু তার থেকেও শিক্ষা নেয়নি মেদিনীপুর পৌরসভা।
এই বিষয়ে স্থানীয় সুব্রত চক্রবর্তী,অভিলাষ সিং রাজপুত শান্তনু পালরা বলেন সরকারি উদাসীনতায় ও পৌরসভার দৃষ্টি না দেওয়ায় এই ধরনেরই অসুবিধা চলছে মেদিনীপুরে।আমরা তাকালেই দেখতে পাই তারের জটে মেদিনীপুর আটকে গেছে। শুধুই তার আর তার।ইলেকট্রিক, কেবল এবং বিএসএনএল মোবাইলে তারই আটকে মেদিনীপুর। বহুবার এই নিয়ে অভিযোগ করেছি, জানিয়েছি পৌরসভা ও প্রশাসনকে।তারপরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। যেখানে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় খোদ কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট মৃত্যু ঘটেছে মানুষের। সেই রকম মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেও টনক নড়েনি পৌরসভার।কবে নড়বে, সেটাই আমাদের প্রশ্নের।
যদিও এই তারের জটে মেদিনীপুরে থাকা অবস্থাকে মেনে দিয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা।মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনিমা সাহা বলেন সত্যিই এই সমস্যা রয়েছে মেদিনীপুরে। বহু সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে চলেছে।তবে অতি দ্রুত বোর্ডের মিটিং ডেকে কেবল মালিক,ইলেকট্রিক সঙ্গে বিএসএনএল অফিসের নোটিশ দিয়ে এই তার অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে।