নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর :
মহালয়া শেষ হয়েছে শেষ হয়েছে পিতৃ তর্পণের কাজ। শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ আর কয়েকটা দিন এরপরই পুজোয় মেতে উঠবে বাংলার বাঙালি সহ গোটা রাজ্যের মানুষজন।চারিদিকে এখন থিমের ছড়াছড়ি। কল্যাণীতে রয়েছে সবচেয়ে বড় দুর্গার কম্পিটিশন কিন্তু এরই মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম দুর্গার মূর্তি তৈরি করে নজর কাড়লেন কেশপুরের প্রসেনজিৎ প্রসেনজিৎ কর পেশায় একজন শিল্পী।
মেকানিক প্রসেনজিৎ প্রায় সময় তার ক্ষুদ্রতম জিনিস তৈরি করে নজর কেড়েছে জেলা সহ রাজ্যের মানুষের।কখনো পালকের মধ্যে,কখনো পেন্সিলের শিসের উপর কখনো বা চকের উপর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম ভাস্কর্য এঁকেছে সে।গতবারেও সেই দুর্গা তৈরি করেছিল পেন্সিলের শিসের।এবারেও তার থেকেও ক্ষুদ্রতম দুর্গা তৈরি করল যা সময় লেগেছে প্রায় ষোল ঘন্টা।রাত দিন এক করে একটানা ঘুম উড়িয়ে তার এই কৃতিত্ব।তাই নজর কাড়ছে জেলার মানুষের।
শিল্পী প্রসেনজিৎ এক সাক্ষাৎকারে জানায় গত বারের দূর্গা টা বানিয়েছিলাম একেবারেই কাঁচা হাতে।তখন সেই সবে পেন্সিলের কাজ শিখছি।আমার কাজের পরিচিতির শুরুটাও হয়েছিল ওখান থেকেই। গতবারের দুর্গা করে আমি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে সম্মানিত হই।তবে পেন্সিলের ওপর কার্ভিং করাটা কঠিন একটা কাজ।তার ওপর দশভূজা দূর্গা,কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জের।আমি একজন বাইক মেকানিক অবসর সময় বলতে ওই রাত ১১ টার পর।রাতের বেলা প্যাঁচা র মতো চোখ খোলা রেখে ১৬ ঘন্টা জেগে ওইটুকু জায়গার মধ্যে কার্ভিং করেছি।একটুখানি ভুল চুখের কোনও ক্ষমা নেই। ওনেক গুলো রাত জাগার ফল এই কাজটা।