সভা মঞ্চ থেকে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।মূলত বাঙালি ও বাংলা ভাষা’,এটাই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্যু হতে চলেছে।সোমবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারই একধাপ এগিয়ে জাতি ও ভাষার ‘লড়াই’য়ে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুসারে এদিন একুশে জুলাইয়ের সভা শুরু হয়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়।সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিত হয়েছিল টলিউডের এক ঝাঁক অভিনেতা অভিনেত্রী বিধায়ক সাংসদ এবং মন্ত্রীরা।সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় সরকার কে বিঁধলেন তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।ছাব্বিশের নির্বাচনের পর ‘জয় বাংলা’ বলানোর চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে অসমের ‘ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালে’র এনআরসি নোটিশ পাঠানো নিয়ে এ দিন সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই ইস্যুতেই তিনি বলেন,”আগে ‘জয় শ্রীরাম বলতো মনে আছে।ঠেলায় না-পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।এখন বলছে ‘জয় মা-কালী’, ‘জয় মা-দুর্গা’। আর আজকে আমার নাম দিয়ে লিখে রাখুন,একুশে জুলাই, 2025 ৷ ছাব্বিশের পর ‘জয় বাংলা’ বলাবো,না-বলাতে পারলে…৷”
অন্যদিকে, ‘এসআইআর’ বা ‘স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন’ ইস্যুতেও বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক।ইডি ও ইলেকশন কমিশনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুললেন তিনি।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কত ক্ষমতা আছে বিজেপির।একদিকে ইডিকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া।ইলেকশন কমিশনকে নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন এই কমিশন কে দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া।দু’টো ‘E’, একটা ইডি, আরেকটা ইসি।এই দু’টো ‘E’-কে কাজে লাগিয়ে একদিকে বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকাচ্ছে।আরেক দিকে বিরোধী দলের ভোটার তথা ভারতবাসীর ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে ৷”বাংলা ভাষা ইস্যুতে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে এ দিন নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা ভাষা নিয়ে ‘নিদান’ ইস্যুতে বিজেপিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ,”বাংলায় কথা বললে বিজেপির অসমের নেতা বলছে বাংলাদেশি ৷
একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,বাংলায় কথা বলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি,প্রধানমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ৷ সংসদে এবার বাংলায় ভাষণ দেব।দেখব কার গায়ে কত জ্বালা ৷ আগে ১০ টা কথা বাংলায় বলতাম।এবার পাঁচশোটা কথা বলব।আপনারাও গর্বের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলবেন।এটা আমাদের মাতৃভাষা।
Kolkata Sava:একুশের মঞ্চ থেকে মোদি কে “জয় বাংলা”বলানোর চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা:
সভা মঞ্চ থেকে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।মূলত বাঙালি ও বাংলা ভাষা’,এটাই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্যু হতে চলেছে।সোমবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারই একধাপ এগিয়ে জাতি ও ভাষার ‘লড়াই’য়ে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুসারে এদিন একুশে জুলাইয়ের সভা শুরু হয়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়।সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিত হয়েছিল টলিউডের এক ঝাঁক অভিনেতা অভিনেত্রী বিধায়ক সাংসদ এবং মন্ত্রীরা।সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় সরকার কে বিঁধলেন তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।ছাব্বিশের নির্বাচনের পর ‘জয় বাংলা’ বলানোর চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে অসমের ‘ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালে’র এনআরসি নোটিশ পাঠানো নিয়ে এ দিন সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই ইস্যুতেই তিনি বলেন,”আগে ‘জয় শ্রীরাম বলতো মনে আছে।ঠেলায় না-পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।এখন বলছে ‘জয় মা-কালী’, ‘জয় মা-দুর্গা’। আর আজকে আমার নাম দিয়ে লিখে রাখুন,একুশে জুলাই, 2025 ৷ ছাব্বিশের পর ‘জয় বাংলা’ বলাবো,না-বলাতে পারলে…৷”
অন্যদিকে, ‘এসআইআর’ বা ‘স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন’ ইস্যুতেও বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক।ইডি ও ইলেকশন কমিশনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুললেন তিনি।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কত ক্ষমতা আছে বিজেপির।একদিকে ইডিকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া।ইলেকশন কমিশনকে নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন এই কমিশন কে দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া।দু’টো ‘E’, একটা ইডি, আরেকটা ইসি।এই দু’টো ‘E’-কে কাজে লাগিয়ে একদিকে বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকাচ্ছে।আরেক দিকে বিরোধী দলের ভোটার তথা ভারতবাসীর ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে ৷”বাংলা ভাষা ইস্যুতে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে এ দিন নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা ভাষা নিয়ে ‘নিদান’ ইস্যুতে বিজেপিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ,”বাংলায় কথা বললে বিজেপির অসমের নেতা বলছে বাংলাদেশি ৷
একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,বাংলায় কথা বলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি,প্রধানমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ৷ সংসদে এবার বাংলায় ভাষণ দেব।দেখব কার গায়ে কত জ্বালা ৷ আগে ১০ টা কথা বাংলায় বলতাম।এবার পাঁচশোটা কথা বলব।আপনারাও গর্বের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলবেন।এটা আমাদের মাতৃভাষা।