
মেদিনীপুর 9 ই নভেম্বর:
দুর্ঘটনায় আহতদের বিশেষ উদ্ধার কাজে বিশেষ প্রশিক্ষণ চাইছে কেন্দ্র সরকার এবার কেন্দ্র চিঠি দিল রাজ্য সরকারকে।মূলত পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের অঙ্গও প্রতিস্থাপনের কাজে লাগুক। এমন ভাবনা থেকেই উদ্ধারকাজে বিশেষ প্রশিক্ষণ চাইছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ন্যাশনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন’ (নোটো)–এর তরফে দেশের সব রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এবার দুর্ঘটনায় নিহত মানুষদের উদ্ধার কাজে বিশেষ প্রশিক্ষণ চাইছে কেন্দ্র সরকার এরকমই ভাবনা চিন্তা থেকে সমস্ত রাজ্যগুলিকে চিঠি দিলো কেন্দ্র তার কারণ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিশেষ জোর কেন্দ্র’র। সংবাদ সূত্রে প্রকাশিত অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে দেওয়া চিঠিতে কেন্দ্র বলেছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের যাঁরা উদ্ধার করে থাকেন, তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই উদ্ধারকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পুলিশকর্মী, অ্যাম্বুল্যান্স চালক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।সংবাদ সূত্রে জানা যায়,‘নোটো’-র প্রধান, চিকিৎসক অনিল কুমারের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতে বহু মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, কেবল ২০২৩ সালেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চিঠিতে এ-ও বলা হয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলেন।তাছাড়া অনেকের বয়সও কম।কিন্তু মৃতদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায় না বলেই সেগুলি নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।চিঠিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, ভারতের মতো দেশে প্রতিস্থাপনের জন্য অনেক সময়ই পর্যাপ্ত অঙ্গ পাওয়া যায় না। ফলে বহু রোগীর চিকিৎসা থমকে যায়।

এই সমস্যার সমাধান করতেই এই পদক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র। আপাতত রাজ্য স্তরে এবং জেলা স্তরে উদ্ধারকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।পরিকল্পনা অনুযায়ী,প্রথমে উদ্ধারকারী মৃতের পরিজনেদের কাছ থেকে অঙ্গ দানের বিষয়ে সম্মতি আদায় করবেন। তার পর খবর পাঠানো হবে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা মেডক্যাল কলেজে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য গ্রহীতাদের বিষয়টি জানাবেন। তবে পরিকল্পনা রূপায়ণের আগে উদ্ধারকারীদের অঙ্গ দানের বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিতে চায় কেন্দ্র।

সেই লক্ষ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা। এর ফলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে বলে আশা কেন্দ্রের।