Teacher Problem:ভরসা দুই শিক্ষকই BLO! পড়ুয়া দের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে খোদ অভিভাবক থেকে শিক্ষকেরা

Share

চন্দ্রকোনা 2 রা নভেম্বর:

শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে BLO তে। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছে বেশ কিছু স্কুল। অভিভাবকদের ক্ষোভ এবং আশঙ্কা শিক্ষকেরা যদি এস আই আর এর হয়ে BLO এর কাজ করতে বেরিয়ে যান তাহলে পড়াশোনার ভবিষ্যৎ কি হবে। যদিও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

স্কুলের স্থায়ী দুই শিক্ষক BLO তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে করতে হবে ভোটার তালিকার কাজ। এতেই বাড়ছে চিন্তা,তাহলে কি হবে স্কুল ছাত্রদের ভবিষ্যৎ! এক মাত্র পার্শ্ব শিক্ষককে সামলাতে হবে স্কুলের দায়িত্ব। ফলে স্কুল পড়ুয়াদের পড়ায় ঘাটতি পড়বে বলছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষকেরা।এমন অনেক স্কুলের মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ২ নম্বর নীলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টিও। জানা যায় এই স্কুলের দুইজন শিক্ষক একজন শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও আরেকজন শিক্ষক BLO দায়িত্ব পেয়েছেনওতাই তাদের BLO কাজ গুলি করতে হবে।বাকি রইল স্কুলের একমাত্র পার্শ্বশিক্ষক তাহলে যতদিন ভোটার তালিকার কাজ চলবে তবে কি এই পার্শ্ব শিক্ষককেই চালাতে হবে স্কুল এই নিয়ে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে এলাকার মানুষজনের।

তারা বলছেন কয়েক দিন পর স্কুলের বাচ্চাদের বাৎসরিক খেলাধুলো থেকে পরীক্ষা সমস্ত কিছুই কয়েকদিনের মধ্যে সেই সময় যদি স্কুলের দুই শিক্ষক ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় কিভাবে হবে স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা,অভিভাবকরা তুলছেন প্রশ্ন। একই চিন্তা স্কুল শিক্ষকদের।তবে যাই হোক এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন স্কুলের কাজ ও BLO কাজ সবই করতে হবে শিক্ষকদের, ছাত্রদের পড়াশোনার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। প্রশাসন নজর রাখছে বলেও জানান তিনি।তবে প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে,আশ্বাস দিলেন বিডিও।

এ বিষয়ে অভিভাবক সাবিত্রী সমাদ্দার বলেন,”আমাদের স্কুলে প্রায় ৪৬ থেকে ৫০ জন পড়ুয়া তাতে এই তিনজন শিক্ষকই পেরে উঠতে পারে না।এর উপরি পাওনা হিসেবে নতুন করে BLO তে দুই শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তি যার ফলে এই একজন পার্শ্ব শিক্ষকের পক্ষে কোনভাবে পড়াশুনা এবং তাদের মিড ডে মিল খাওয়ানো সম্ভব নয়।তাই উপর মহলের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন যদি এই শিক্ষকদের নাম এস আই আর এর বি এল এর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় তাহলে এই স্কুলটা চলবে।”

যদিও অন্যদিকে স্কুলের কাজের ক্ষতি হবে বলে স্বীকার করেছেন বি এল ও তে নাম থাকা শিক্ষিকা রমা কুন্ডু দাস। তিনি বলেন আমাদের নাম এসেছে কিন্তু আমরা কি করব এসআই এর কাজ তো আগেই করতে হবে।জানি না কি হবে স্কুলের ভবিষ্যৎ,আমরাও চিন্তায় রয়েছি।

এ বিষয়ে আতঙ্কগ্রস্থ পার্শ্ব শিক্ষক রাজকুমার বাগ বলেন,”একদিকে স্কুলের এত পড়ুয়া সেই সঙ্গে মিড ডে মিলের খাবার ব্যবস্থা করা যা আমার একার পক্ষে অসম্ভব।জানিনা এই স্কুলের ভবিষ্যৎ কি হবে তবে আমি একা পুরো কাজ করে উঠে পারবো না।”

যদি ওই বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন,”আমাদের কাছে কোন আগেও অভিযোগ আসেনি আপনাদের মারফত আমরা শুনলাম।তবে বি এল এর কাজ করতে গিয়ে স্কুলের কোন সমস্যা হবে বলে মনে করি না কারণ।১১ টা থেকে তিনটে পর্যন্ত ওনারা কাজ করবেন আর সকালে স্কুল।তাই সমস্যার কোন অবকাশ নেই বলেই মনে করি।



Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in