
কলকাতা 12 ই নভেম্বর:
মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে নতুন পালক! কলকাতা এবং সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিলিট। এইদিন কলকাতার ভবানীপুরে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহের অনুষ্ঠানমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে মমতা এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছরেই জাপানে যাবেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিনি আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য পুলিশ মন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে খুশি গোটা রাজ্যসহ দেশ এবং বিশ্ব। ইতিমধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প গোটা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। এবার তারই পাশাপাশি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুটলো ডিলিট সাম্মানিক। সূত্র অনুযায়ী জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জাপানের যে বিশ্ববিদ্যালয় এ বার ডিলিট দিয়েছে, তার নাম ইয়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়। সেইমতো বুধবার বিকেলে ‘ধনধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা প্রমুখ। ছিলেন কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরাও।

সেখানেই মমতার হাতে এই সম্মান তুলে দেন ইয়াকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। জানানো হয়, মূলত রাজনীতি এবং সাহিত্যে তাঁর কৃতিত্ব ও অবদানের জন্যই এই সম্মান জানানো হচ্ছে মমতাকে।জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাপানের প্রতিনিধিরা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)-এ অংশগ্রহণ করতে বাংলায় এসেছিলেন। তখনই জাপানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বলেন, ‘‘জানিয়েছিলাম, এ বছর যেতে পারব না। তখন জানানো হয়, আপনি আসতে না-পারলে আমরা যাব! আমি কী ভাবে এড়াব? এড়ানো যায়? এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ আগামী বছর জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছোটখাটো জাপান সফরও হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি! মমতা বলেন, ‘‘জানি এটা নিয়েও অনেকের অসুবিধা হবে।

কিন্তু আমি ভিআইপি নই, এলআইপি— লেস ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন! এ ভাবেই সারা জীবন থাকতে চাই।’’প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এর আগে মমতা কলকাতার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে সাম্মানিক ডিলিট পেয়েছেন। ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০২৩ সালে সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এ ছাড়া, ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি) থেকেও সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তার সঙ্গে এ বার ইয়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট-টি যুক্ত হওয়ায় মমতার ঝুলিতে জুড়ল চারটি সম্মান।