
ছোটবাজার 4 ঠা অক্টোবর:
এবার লেডি গ্যাং এর খপ্পরে মেদিনীপুর শহরের ছোট বাজার পুজো কমিটির সদস্যরা। ভিন জেলার মহিলারা কনকাঞ্জলি দেওয়ার নাম করে চুরি করে সোনার গহনা বলে অভিযোগ।যদিও তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল কমিটির সদস্যরা।পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

কনকাঞ্জলির সময়েই মন্ডপে ঢুকে পড়লো লেডি গ্যাং! দেবীবরণ করতে আসা মহিলার সোনার হার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল গ্যাং এর এক সদস্য। এরপরই মন্ডপ জুড়ে হুলস্থুল।পুজো কমিটির হাতে পাকড়াও দলের ৬ সদস্যই। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল তাদের।কমিটি সূত্রে জানা যায় শনিবারই নিরঞ্জন করার কথা ছিল মেদিনীপুর শহরের ছোট বাজার সার্বজনীনের দেবী প্রতিমার।বেলা এগারোটা থেকেই শুরু হয় কনকাঞ্জলি। এই কনকাঞ্জলি চলাকালীন হঠাৎ এই মন্ডপে দেখা মেলে একাধিক অপরিচিত মুখের মহিলা। তারা একসাথে কনকাঞ্জলির বাহানায় হাজির হয়। তাদের দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকার মহিলাদের। নজর রাখা শুরু হয় তাদের ওপর। পূজা কমিটির অভিযোগ কনকাঞ্জলি চলার সময় এলাকার এক মহিলার সোনার হার চুরি করে নেয় ওই দলেরই এক সদস্য।

এরপরই দলের প্রত্যেক সদস্যকে আটক করে পূজা কমিটির সদস্যরা।এই খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তাদের বাড়ি সাঁতরাগাছি এলাকায়।এরপর তাদের বক্তব্যে সামঞ্জস্য না পেয়ে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।এই দলটি যে সাঁতরাগাছি থেকে মেদিনীপুরে কি কারনে এসেছিল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ছোটবাজার এলাকায়।

ছোট বাজার পুজো কমিটির সেক্রেটারি পৃথ্বীশ দাস বলেন,”গতকাল আমাদেরই শহরের খাপ্রেল বাজারে এরকম এক ঘটনা ঘটানোর হয়েছিল তার জন্য আমরা সতর্ক ছিলাম।আজকেও এরকম সন্দেহজন কয়েকজন মহিলা কনকাঞ্জলি দেওয়ার নাম করে মন্ডপে ঢুকেছিল।তাদেরকে আমরা লক্ষ্য রেখেছিলাম। পরে জানতে পারি আমাদেরই কমিটির কিছু মহিলার সোনার হার চুরি হয়েছে এবং তারপরেই আমরা তাকে ধরার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করি এবং তাদেরকে আটক করে রাখি। এরপর পুলিশ এলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিই আমরা মনে করছি এই মহিলা গ্যাং বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনেরই চুরি করে বেড়ায়।

যদিও মেদিনীপুর কোতোয়ালির এক পুলিশ আধিকারিক বলেন এরা এই জেলার না।তবে সকলেই আটক হয়েছে।আমরা ৬ জন মহিলা কে জিজ্ঞাসাবাদ করে খতিয়ে দেখছি।