
মেদিনীপুর 12 ই ডিসেম্বর:
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে একেবারে রাত পর্যন্ত টানা বনদপ্তরের অভিযান।তারা বেশ কিছু সন্দেহজনক গাড়ি কে রাস্তায় দেখে।প্রতিটি গাড়ি বিনা অনুমতিতে কাঠ কেটে কাঠ চেরায় মিলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।এরপর বনকর্মীদের তৎপরতায় সারাদিনে একের পর এক ধরা পড়লো বিভিন্ন কাঠ পাচারকারি গাড়ি।সেই সমস্ত গাড়িকে ধরে মেদিনীপুর বন বিভাগের অফিসে আটক করা হয় সন্ধ্যে পর্যন্ত। বনদপ্তরের কর্তারা জানালেন-এই সমস্ত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি যে সমস্ত কাঠ মিল এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনা ক্রমে জানা যায় গত কয়েক দিন ধরেই কাঠ পাচার হচ্ছে বলে খবর আসে বন বিভাগের কাছে।এরপর সূত্রে খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লক ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে বনদপ্তরের অভিযান শুরু হয়। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন স্থান থেকে গাছ কেটে ভোর ভোর বিভিন্ন কাঠ চেরায় মিল গুলির উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল গাড়ি ভর্তি করে চোরাই কাঠ।ওত পেতে থাকা বনদপ্তরের কর্মীরা ভোর থেকে পরপর সেই গাড়িগুলি আটক করা শুরু করে। সন্ধে পর্যন্ত বিভিন্ন অলিগলি রাস্তাতেও অভিযান চালিয়ে বনদপ্তর বিশাল পরিণাম কাঠ ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এই বিষয়ে বনদপ্তরের অফিসার মলয় কুমার নন্দী বলেন,”ভোর থেকে অভিযান চালিয়ে তিনটি ইঞ্জিন ট্রলি,দুটি পিকআপ ভ্যান,সাতটা বাইসাইকেল,একটি লরি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।প্রতিটি গাড়িতে কাঠ বোঝাই ছিল।

গাড়ি গুলিতে যারা ছিলেন তারা প্রত্যেকেই কোন কাগজ দেখাতে পারেননি অনুমতির।এই কাঠগুলি চুপিসারে কেটে বিভিন্ন কাঠ চেরায় মিলে পাচার করা হচ্ছিল। এমন তথ্য পেয়েছে বনদপ্তর। তারপরেই নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত হওয়া সেই সমস্ত মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে বনবিভাগের কর্তারা।অন্যদিকে এই বিষয়ে মেদিনীপুর বনদপ্তরের ডি এফ ও দীপক এম বলেন,”অনেক কাটচেরায় মিল রয়েছে যারা বিনা অনুমতিতে ব্যবসা চালাচ্ছেন।লাইসেন্স ছাড়া এই সমস্ত মিল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতিমধ্যেই গত দু সপ্তাহে দুটি সিজ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে বলে বেশ কয়েকটি মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ কাটার জন্য বলা হয়েছে।

বাকি চিহ্নিত হওয়া কাঠমিল গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।কেশপুর শালবনি গোদাপিয়াশাল চন্দ্রকোনা এলাকায় এমন বেশ কিছু অবৈধ কাঠ মিলের কাজকর্ম আমাদের নজরে এসেছে।”